বুর্জ খলিফা কত তলা বিশিষ্ট - বুর্জ খলিফা রুম প্রাইস - বুর্জ খলিফার ইতিহাস
প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয় বুর্জ খলিফা কয় তলা বিশিষ্ট এবং বুর্জ খলিফার রুম প্রাইস কত এই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য
যা থেকে জানতে পারবেন বুর্জ খলিফা সম্পর্কিত সবকিছু। বুর্জ খলিফা সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন রয়েছে সবকিছু দূর হয়ে যাবে, সেজন্য দেরি না করে এই আর্টিকেলটি পুরোটা মনোযোগ সহকারে পড়ে ফেলুন এক্ষুনি।
সূচিপত্রঃবুর্জ খলিফা কত তলা বিশিষ্ট - বুর্জ খলিফা রুম প্রাইস - বুর্জ খলিফার ইতিহাস দেখুন
বুর্জ খলিফা কত তলা বিশিষ্ট - বুর্জ খলিফা রুম প্রাইস - বুর্জ খলিফার ইতিহাস
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ ভ্রমণের জন্য আরব আমিরাতের দুবাই শহরে যে থাকেন শুধুমাত্র বুর্জ খলিফা সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। বুর্জ খলিফা ভবনটির উচ্চতা হচ্ছে ১৬৩ তলা বিশিষ্ট। বুর্জ খলিফা নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল প্রায় ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে (২০০৪ সালের ৬ জানুয়ারি)।
পরবর্তীতে বুর্জ খলিফার কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে(২০০৯ সালের ১ অক্টোবর)। বুর্জ খলিফা তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আশেপাশে ফোয়ারা অবস্থিত এর জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৩৩ বিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড। বুর্জ খলিফা ভবনটিতে বাসা রয়েছে ১০৪৪টি।
সুইমিং পুল রয়েছে চারটি যা ৪৩ তম তলায় ও ৭৬ তম তলায় এবং আরো দুটি রয়েছে দ্য-ক্লাব এ। দ্য-ক্লাব হচ্ছে বুর্জ খলিফার একটি স্বাস্থ্য চর্চা কেন্দ্র যেখানে মানুষ স্বাস্থ্য চর্চা করে থাকে না। বুর্জ খলিফা ঘুড়ার সাথে সাথে বুর্জ খলিফাই অবস্থান করতে পারবেন সেখানকার হোটেল ভাড়া নিয়ে।বুর্জ খলিফা রুম প্রাইস একরাত থাকতে হলে একজনের খরচ পড়বে প্রায় ৩৯ হাজার টাকা।
আপনি নিশ্চয় ই অবাক হচ্ছেন কিন্তু এখানে অবাক হওয়ার কিছু নেই কেননা বুর্জ খলিফা তৈরি করতেও বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা খরচ করা হয়েছে। বুর্জ খলিফার ভাড়া বেশি হবে এটাই তো স্বাভাবিক তাই না। এর পাশাপাশি আপনি বুর্জ খলিফার আশেপাশে যে হোটেল গুলো রয়েছে সেগুলোতে থাকতে পারবেন অল্প খরচে।
আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত টাকা-মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কত
আশেপাশের হোটেল গুলো হচ্ছে তাজ দুবাই, দুসিত থানি এগুলোর ভাড়া ৫,৫০০ থেকে ৬,৫০০ টাকা পর্যন্ত যেখানে দুজন রাত কাটাতে পারবেন। বর্তমানে বুর্জ খলিফার গড়ে একটি ফ্ল্যাটের দাম পড়বে প্রায় ২০০ কোটি। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে বুর্জ খলিফার ১২৪ তম তলায় উঠতে সময় লাগে মাত্র এক মিনিট। কেননা সেখানে দ্রুতগতি সম্পন্ন লিফট ব্যবহার করা হয়।
কেনাকাটার জন্য উন্নত মানের সকল জিনিস পাওয়া যায় আরব আমিরাতে। বুর্জ খলিফার যেমন নাম রয়েছে তেমনি তার সৌন্দর্য রয়েছে যা মানুষকে নিমিষে মুগ্ধ করে ফেলে। বর্তমানে বুর্জ খলিফার যতগুলো তল রয়েছে পৃথিবীর আর অন্য কোথাও এতগুলো তল নেই যা শুধু আরব আমিরাতে অবস্থিত।
বুর্জ খলিফা কত তলা যা দুবাই টাওয়ার কত তলা নামে পরিচিত, দুবাই টাওয়ার হচ্ছে ১৬৩ তলা বিশিষ্ট। বুর্জ খলিফার থাকার খরচ একাদশ রকম হয়ে থাকে আপনার উপর নির্ভর করবে আপনি কি রকম অবস্থানে থাকতে চাচ্ছেন। বুর্জ খলিফা মালিকের নাম যা ইতোমধ্যে আমরা এই আর্টিকেলের প্রথমেই বলেছি।
বুর্জ খলিফার মালিকের নাম
বুর্জ খলিফার মালিকের নাম হচ্ছে এমার প্রপার্টিজ। এমার প্রপার্টিজ হচ্ছেন একটি রিয়েল এস্টেট বৃহত্তম ডেভলপার কোম্পানি যা রয়েছে বর্তমানে দুবাই অবস্থিত। তিনি পরিচিত লাভ করেছেন এই বুর্জ খলিফার নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য।
বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে একটি অন্যতম সৌন্দর্য ও মুগ্ধকর ভ্রমণের জায়গা হচ্ছে বুর্জ খলিফা। পৃথিবীর অন্যতম জায়গা হচ্ছে আরব আমিরাতের সেই বুর্জ খলিফা। প্রতিনিয়তই বুর্জ খলিফাতে প্রচুর জনসংখ্যার জন্য ভিড় লেগেই থাকে।
আপনি সেখানে ভ্রমণের জন্য গেলে অবশ্যই আপনাকে লাইন ধরে থাকতে হবে এবং সব থেকে বেশি ভিড় হয়ে থাকে রাত্রি বেলায়। বুর্জ খলিফা বানানোর জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা ব্যয় করা হয়েছে যার ফলেই এতটা সৌন্দর্য ও মুগ্ধকর হয়ে উঠেছে এই বুর্জ খলিফা। বুর্জ খলিফা এতটা মুছে যে আপনাকে ঘাড় বেকা করে দেখতে হবে।
বুর্জ খলিফা সৌন্দর্য ফুটে ওঠে সবথেকে বেশি রাত্রি বেলায়। পৃথিবীর বুকে জায়গা করে নিয়েছে আরব আমিরাতের এই সেই বুর্জ খলিফা যা মানুষের মুখে মুখে পরিচিত লাভ করেছে ইতোমধ্যে। সবথেকে উঁচু তলাতে থাকতে হলেও খরচ কখনোই কম নয়।
প্রায় ২ কোটি ৭ লক্ষ ডলার খরচ পড়বে আপনার ওপরের তলার উঁচু তলাতে থাকার জন্য যা বাংলাদেশী টাকায় ২০০ কোটি টাকারও বেশি। সব থেকে উচু বিল্ডিং এর নাম বলতে গেলে আরব আমিরাতের বুর্জ খলিফা নাম চলে আসে যা বিলিয়ন বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে বানানো হয়েছে।
বুর্জ খলিফা কি
বুর্জ খলিফা হচ্ছে আরব আমিরাতের মধ্যে দুবাইয়ে অবস্থিত আকাশচুম্বি একটি ভবন। বুর্জ খলিফা বিশ্বের মধ্যে সবথেকে উঁচু ভবন হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। বুর্জ খলিফার উচ্চতা হচ্ছে ৮২৯.৮ মিটার [২,৭২২ ফুট] ও ছাদের উচ্চতা হচ্ছে ৮২৮ মিটার [২,৭১৭ ফুট]।
বুর্জ খলিফা ২০১০ সালে সম্পূর্ণভাবে চালু হয়েছিল এবং এটি একটি দুবাই শহরে প্রধান আকর্ষণ সৃষ্টি করেছিল যা মানুষকে দূর দুরন্ত থেকে আকৃষ্ট করছে। বুর্জ খলিফা ডিজাইনটা হচ্ছে একটি চমৎকার যা সাজসজ্জা দিক দিয়ে অন্যতম ভাবে বিখ্যাত। বুর্জ খলিফা যে লিফট গুলো ব্যবহার করা হয় তা হচ্ছে বিশ্বের মধ্যে সবথেকে দ্রুত গতি সম্পন্ন।
বুর্জ খলিফার জন্য দুবাইকে আধুনিক ও উন্নয়নশীল প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করা হয়ে থাকে। বুর্জ খলিফার মধ্যে সকল রকম সুযোগ সুবিধা রয়েছে যেমন সুইমিং পুল, এক্সারসাইজ রুম, হোটেল বা রেস্টুরেন্টে, লাইব্রেরী, মিটিং রুম, সিডি ও লিফ, কাচের দেওয়াল, ইত্যাদি।
বুর্জ খলিফা আরেকটি সৌন্দর্য মোহরিত দিক হচ্ছে ওপর থেকে দূর দুর্দান্ত সকল জিনিস দেখা যায় কাচের দেওয়াল থাকার কারণে। বুর্জ খলিফার সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য ক্লিনার রয়েছে যার ফলে মানুষকে সব সময় মুগ্ধ করতে সক্ষম হয় এই বুর্জ খলিফা।
বুর্জ খলিফা বলতে গেলে প্রথমে চলে আসবে আরব আমিরাতের দুবাই শহরের নাম। নামে যেমন পরিচিত বুর্জ খলিফা তেমনি কামেও সৌন্দর্য ও মুগ্ধ ময় এই বুর্জ খলিফা। বুর্জ খলিফা এতটাই উঁচু যে প্রায় অনেক দূর থেকে এটিকে দেখা যায় যা মানুষকে দূর থেকে আকর্ষিত করে।
বুর্জ খলিফা অর্থ কি ও বুর্জ খলিফা নামকরণ
বুর্জ খলিফা শব্দটি হচ্ছে আরবি শব্দ। বুর্জ খলিফার বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে খলিফার টাওয়ার। প্রথমে এর নাম ছিল বুর্জ দুবাই এবং পরবর্তীতে প্রেসিডেন্টের সম্মানার্থে এই নামটি পরিবর্তন করা হয়েছে। বুর্জ খলিফা ভবনটি উদ্ভাবন করেছেন দুবাইয়ের শেখ মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুম।
বুর্জ খলিফা নামকরণ করা হয়েছে আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জাহেদ আল নাহিয়ানের সম্মানার্থে। বুর্জ খলিফা বর্তমানে সারা বিশ্বে একটি পরিচিত ভবন যা রয়েছে আরব আমিরাতে। প্রতিবছর নানান দেশ থেকে বুর্জ খলিফা আছেন ভ্রমণের জন্য ও বুর্জ খলিফার সৌন্দর্য উপভোগের জন্য।
আরো পড়ুনঃ মাসে ২৫ হাজার টাকা আয় করার কার্যকরী উপায়
অনেকেই এই বুর্জ খলিফা চিনে থাকেন খলিফা টাওয়ার নামে। বুর্জ খলিফা ১৬৩ তলা হওয়ার কারণে অনেকবার রেকর্ডের অধিকারী হয়েছেন।বুর্জ খলিফাতে রয়েছে লাইব্রেরী যা ১২৩ তলাতে অবস্থিত। বুর্জ খলিফার আরমানি হোটেল অবস্থিত হচ্ছে ১ থেকে ৮ তলায় এবং যার ঘরের সংখ্যা প্রায় ১৬০ টি।
আরেকটি আশ্চর্যকর বিষয় হচ্ছে বুর্জ খলিফার রয়েছে নিজস্ব বাজার, দোকান, শপিং মল ইত্যাদি। যার ফলে প্রতিনিয়ত মানুষ সেখানে কেনাকাটা করার জন্য যান এবং ঘোরাফেরা করে আসেন যা একটি মুগ্ধকর জায়গা। পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম একটি সুন্দর্য ও মুগ্ধকর জায়গা বলতে গেলে প্রথমেই চলে আসে আরব আমিরাতের সেই বুর্জ খলিফার নামটি।
বুর্জ খলিফার হোটেল বুকিং দেওয়ার নিয়ম
হোটেল নানান ধরনের রয়েছে যা আপনার অ্যামাউন্ট এর উপর নির্ভর করবে। আপনার যদি ব্যয়বহুল করার ক্ষমতা থাকে তাহলে আপনি উন্নত মানের হোটেল নিতে পারেন। বর্তমানে কিছু হোটেল রয়েছে যেগুলো আপনার কম খরচে থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারে যা আপনি অনলাইন থেকে বিস্তারিত জানতে পারেন।
বর্তমানে অনেক সাইট রয়েছে যে সাইটগুলোতে আপনি খুব কম খরচেই অ্যাপার্টমেন্ট নিতে পারবেন এবং বুর্জ খলিফা ও বুর্জ খলিফার আশেপাশে আপনি অবস্থান করতে পারবেন ভ্রমণের জন্য। আপনি হয়তো এর আগে শুধু নাম শুনেছেন আর আজকে এই আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি বুর্জ খলিফা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন নিশ্চয়ই।
বুর্জ খলিফার উচ্চতা হচ্ছে ৮২৮ মিটার এবং মোট বাস স্থানের সংখ্যা হচ্ছে ৯০০। বর্তমানে বুর্জ খলিফাতে থাকেন প্রায় ২৫ হাজারের বেশি মানুষ।
বাংলাদেশ থেকে বুর্জ খলিফা যেতে কত টাকা খরচ পড়বে
আপনি যদি জানতে চান বাংলাদেশ থেকে বুর্জ খলিফা যেতে কত টাকা খরচ পড়বে তাহলে এ আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। বাংলাদেশ থেকে বুর্জ খলিফা যেতে মোট খরচ নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের মাধ্যমের ওপর যেমন ভ্রমণের সময়, বিমানের টিকিট, হোটেলের খরচ, আরো আনুষঙ্গিক খরচ।
বর্তমানে এক মুখী বিমানের টিকিটের মূল্য পড়বে প্রায় ৩৫ হাজার থেকে ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। তবে এটি নির্ধারিত নয় এটি হচ্ছে পরিবর্তনশীল কেননা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের অফার থাকে এবং বুকিং সময় ও আরো অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে বিমানের টিকিট।
টিকিটের মূল্য জানার জন্য আপনি নয় যে সময় যাবেন তখন আপনি এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট বা তাদের সাথে যোগাযোগ করে নির্ধারিত টিকিটের মূল্য জানতে পারেন। বুর্জ খলিফা যাওয়ার জন্য আপনার প্রথমত একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং পাসপোর্টির মেয়াদ থাকতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে বুর্জ খলিফা
বুর্জ খলিফা যাওয়ার জন্য আপনাকে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি এদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে যার ফলে আপনি তাদের মাধ্যমে সবকিছু করতে পারবেন। এর পাশাপাশি অন্যান্য খরচের জন্য আপনি অনলাইন থেকেই সবকিছু আগেই বুক করে নিতে পারেন যার ফলে আপনার খরচ কিছুটা কমতে পারে। ভ্রমণের সময় খরচের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে।
আপনি বিমানে যাওয়ার জন্য প্রতিটা বিমানের একেক ধরনের নির্ধারিত টিকিট রয়েছে যার মূল্য নির্ধারিত। প্রতিটা বিমানের সুযোগ-সুবিধা ভিন্ন ভিন্ন থাকে যার ফলে তাদের টিকিটের মূল্য ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আপনার যদি সকল কাগজ পাতি সঠিক থাকে তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে আপনি বাংলাদেশ থেকে আরব আমিরাত যাওয়ার পর বুর্জ খলিফা যেতে পারবেন নিমিষেই।
আরব আমিরাতে যদি আপনার কোন আত্মীয় থাকে তাহলে তাদের মাধ্যমে আপনি অল্প খরচে যেতে পারেন। বুর্জ খলিফা যাওয়ার পর যেখানে থাকার জন্য একটা বড় এমাউন্ট আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে। সেখানকার হোটেলের মূল্য প্রচুর পরিমাণে যা আপনি থাকতে চাইলে আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে। আপনি যদি বুর্জ খলিফাই হোটেলে না থেকে তার আশে পাশের হোটেলগুলোতে যদি থাকেন তাহলে আপনার কিছুটা খরচ কম পড়বে।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url