মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত টাকা - মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কত
মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত টাকা ও মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কত আপনি নিশ্চয়ই এ বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন,তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি জানতে পারবেন,
মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা ও মালয়েশিয়ার ভিসার দাম,মালয়েশিয়ায় টুরিস্ট ভিসার জন্য কি কি লাগে, আবেদনের ফর্ম, ভিসা, এজেন্সি সম্পর্কে। সবকিছু জানার জন্য দেরি না করে এখনই পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন।
সূচিপত্রঃমালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত টাকা-মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কত দেখুন
মালয়েশিয়া ভিসা দাম কত টাকা ও মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কত
মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত টাকা জানেন কি ও মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কত দিন। আপনি অবশ্যই মালয়েশিয়া যেতে চাচ্ছেন, সেজন্য মালয়েশিয়ার ভিসার দাম জানতে চাচ্ছেন তাহলে চলুন জেনে আসা যাক। বর্তমান সময়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য অনেক ধরনের ভিসা করা হয়ে থাকে। আপনি যদি টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনাকে ৫৩০০ টাকা আবেদন ফ্রি জমা দিতে হবে প্রথমে।
সে কারণে একাধ ধরনের ভিসার জন্য একাধ রকম খরচ হয়ে থাকে। টাকার পরিমানটা নির্ভর করে সবসময় আপনি যে ধরনের ভিসা করছেন তার ওপর। চলুন জেনে নেয়া যাক কয়েক ধরনের ভিসা সম্পর্কে।
কনস্ট্রাকশন ভিসাঃ বর্তমান সময়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য অনেকেই কনস্ট্রাকশন ভিসার জন্য কোথায় আবেদন করবে জানেন না। কনস্ট্রাকশন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে মালয়েশিয়ার দূতাবাসে। এই কনস্ট্রাকশন ভিসার জন্য সময় লাগে পাঁচ থেকে সাত দিন। যারা কাজের জন্য মালয়েশিয়া যেতে চান তাদের জন্য এই কনস্ট্রাকশন ভিসা।
এন্ট্রি ভিসাঃ মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য এন্ট্রি ভিসা টি মাত্র পাঁচ থেকে সাত দিন মত সময় লাগে। এই এন্ট্রি ভিসার মাধ্যমে আপনি মালয়েশিয়াতে সর্বোচ্চ তিন মাস মত সম্পূর্ণ বৈধভাবে থাকতে পারবেন। অল্প সময়ের জন্য এই এন্ট্রি ভিসা আপনার জন্য কার্যকরী হতে পারে।
স্টুডেন্ট ভিসাঃ অনেকেই উচ্চ শিক্ষার জন্য মালয়েশিয়ায় যান তাদের জন্য ভিসা হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য সময় লাগে প্রায় ২০ থেকে ৩০ দিন। স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ রয়েছে অনেক দিন যা আপনার পড়াশোনা শেষ করতে যতদিন লাগবে। এক কথায় পড়াশোনা শেষ করা পর্যন্ত রয়েছে এই স্টুডেন্ট ভিসা।
মেডিকেল ভিসাঃ বর্তমানে অনেকেই উন্নত মানের চিকিৎসার জন্য মালয়েশিয়ায় যে থাকেন। মেডিকেল ভিসায় তেমন সময় লাগে না কেননা এটা অত্যন্ত জরুরী একটা বিষয়। মেডিকেল ভিসার জন্য সর্বোচ্চ সময় লাগে দুই থেকে তিন দিন। মেডিকেল ভিসার জন্য রোগী ৩০ দিন অবস্থান করতে পারবেন মালয়েশিয়াতে চিকিৎসার জন্য এবং পরবর্তীতে যদি সময় লাগে তাহলে সময় বাড়ানো যাবে।
এমপ্লয়মেন্ট ভিসাঃ বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর প্রায় হাজার হাজার মানুষ এমপ্লয়মেন্ট ভিসা আবেদন করে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। এমপ্লয়মেন্ট ভিসায় আবেদন করার পর মালয়েশিয়ায় নানান ধরনের কাজ করে থাকেন বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে এমপ্লয়মেন্ট ভিসা। অল্প কিছু যেন মধ্যে এমপ্লয়মেন্ট ভিসার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে থাকে।
ফ্যাক্টরি ভিসাঃ বর্তমান সময়ে নতুন নতুন অনেক ফ্যাক্টরি তৈরি করার ফলে নতুনভাবে কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে কিছু সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় যা নতুন হওয়ার ফলে আপনার জন্য অনেক ভালো হবে। বর্তমানে ফ্যাক্টরি ভিসাতে প্রচুর পরিমাণে বেতন দেওয়া হয়। ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য বেশি টাইম লাগে না অবশ্য। প্রতিমাসে আপনি ফ্যাক্টরি বিষয় সর্বনিম্ন বেতন পাবেন ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ বাসা যাবতীয় কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আবেদন করতে পারেন। বর্তমানে মুনাফার দিক দিয়ে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ভালো পরিমাণে ইনকাম করা যায়। নতুনদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অত্যন্ত কার্যকরী হবে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য বেশি টাইম লাগে না। মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত টাকা এবং যারা বেশি টাকা ইনকাম করতে চান তাদের জন্য ওর পারমিট ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মাসে ২৫ হাজার টাকা আয় করার কার্যকরী উপায়
ড্রাইভিং ভিসাঃ যাদের গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা নিমিষেই ড্রাইভিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় আবেদন করতে পারেন। মালয়েশিয়াতে ড্রাইভিং করে আপনি প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন। ডাইভিং ভিসাতে খুব অল্প সময়ে মালয়েশিয়া যাওয়া সম্ভব।
জীবিকা নির্ধারণের জন্য আপনার ড্রাইভিং এর প্রতি অভিজ্ঞতা থাকলে আপনার জন্য মালয়েশিয়া যাওয়া সভ্যতম। বর্তমান সময় মালয়েশিয়ায় ড্রাইভিং করে অধিক পরিমাণে ইনকাম করছেন বাংলাদেশী যুবকরা। অধিক ইনকামের জন্য ড্রাইভিং ভিসা সর্বপ্রথম।
বর্তমান সময়ে আপনি যদি কোন দালালের পাল্লায় পড়েন তাহলে আপনার প্রচুর পরিমাণে খরচ করতে হবে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য। কাজের জন্য যারা মালয়েশিয়া যেতে যাচ্ছেন তাদের খরচ পড়বে প্রায় চার লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কাজের ওপর নির্ভর করে।
মালয়েশিয়া ভিসার দাম একুই রেট বলা সম্ভব নয় কেননা ভিন্ন ভিন্ন ভিসার জন্য ভিন্ন ভিন্ন দাম রয়েছে। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেই ভিসার দাম নির্ধারিত হবে। আপনি যদি দালানের মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ একটু বেশি পড়বে। যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনি কোন কাজের জন্য যাচ্ছেন তা যাচাই করে নিবেন।
মালয়েশিয়ার ভিসা এজেন্সি
মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত টাকা ও আপনার যদি মালয়েশিয়ার ভিসা এজেন্সি সম্বন্ধে না জানেন তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়ে মালয়েশিয়ার ভিসা এজেন্সি সম্বন্ধে জেনে নিন। ঝামেলা এড়ানোর জন্য আপনি মালয়েশিয়ার ভিসা এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ একটু বেশি হলেও ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করা অন্যতম কেননা তারাই আপনার সকল কাগজপত্র একত্রিত করে কাজ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। বর্তমানে মালয়েশিয়া ভিসা এনসি অন্যতম হচ্ছে নিউ এজ ইন্টারন্যাশনাল আর এল নাম্বার ০৭০৩ যার মাধ্যমে আপনি সাহায্য নিতে পারেন।
আরো মালয়েশিয়া ভিসা এজেন্সি হচ্ছে মেসার্স শাখ ফান্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল আরএল নাম্বার ১২৯৮ ও মেসার্স আমিয়ান ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি আরএল নাম্বার ১৩২৬ এগুলোর পাশাপাশি আরো অনেক এজেন্সি রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি সাহায্য নিয়ে খুব অল্প সময়ে মালয়েশিয়া যেতে পারেন।
আবেদন করার পর কিছুদিনের মধ্যে আপনার টুরিস্ট ভিসার আবেদন কমপ্লিট হয়ে যাবে। আপনার ভবনের জন্য অন্যতম হতে পারে এই মালয়েশিয়া।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য কি কি লাগে
মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত টাকা আগে জানা উচিত, ভ্রমণে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আপনার প্রথমে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে চলুন দেখে আসা যাক এক নজরে।
পাসপোর্ট: পাসপোর্ট এর মেয়াদ নূন্যতম ৬ মাস থাকা লাগবে। ছয় মাসের নিচে থাকলে কখনোই হবে না অবশ্যই ছয় মাস বা ছয় মাসের উপরে থাকা লাগবে।
ব্যবসায়ীদের জন্য থাকতে হবে ট্রেড লাইসেন্স: ট্রেড লাইসেন্স যাবতীয় কাগজপত্র থাকা লাগবে এবং কাগজপত্র গুলো সঠিক হতে হবে।
ব্যাংক ব্যালেন্স: প্রতি জনের জন্য থাকা লাগবে নূন্যতম এক থেকে দুই লক্ষ টাকা বিগত ছয় মাসের ব্যাংকের স্টেটমেন্ট। আরো থাকা লাগবে ব্যাংক সহ ভেন্সির সার্টিফিকেট সহ যাবতীয় কাগজপত্র।
ছবি: দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি থাকতে হবে নতুন করে তোলা।
জাতীয় পরিচয় পত্র: যিনি ভিসার জন্য আবেদন করবে তার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং তিনি কেন মালয়েশিয়া যেতে চাচ্ছেন তার সকল যাবতীয় কারণে ডকুমেন্ট শো করাতে হবে।
আরো পড়ুনঃ প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করা যায় কোন কাজগুলো করে
এগুলো সকল কিছু জমা দেওয়ার ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে আপনার টুরিস্ট ভিসা কমপ্লিট হয়ে যাবে যার ফলে আপনি মালয়েশিয়াতে ভ্রমণ যেতে পারবেন। সকল ডকমেন্ট সঠিক হতে হবে কোনরকম যদি ভুল ডকুমেন্ট জমা দেন তাহলে কখনোই আপনার টুরিস্ট ভিসা কমপ্লিট হবে না।
আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি নিশ্চয় জানতে পেরেছেন মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসার জন্য কি কি করণীয় রয়েছে আপনার।
মালয়েশিয়ার ভিজিট ভিসা আবেদন
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আপনি যদি ভিজিট ভিসা আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে ভিজিট ভিসা সম্পর্কে আগে জানতে হবে। মালয়েশিয়ায় ভিজিট ভিসার জন্য যে সকল ডকুমেন্ট লাগবে চলুন সেগুলো দেখে আসি।
- অনলাইন কপি মালয়েশিয়ার ভিসা আবেদনের ফরমের।
- ন্যূনতম ৬ মাস মেয়াদী বৈধ একটি পাসপোর্ট।
- মূল জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
- স্ট্যাম্প ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং ব্যাকগ্রাউন্ড হবে সাদা।
- ব্যাংকের স্টেটমেন্ট কপি।
- আপনার অবশ্যই থাকতে হবে রেফারেন্স লেটার।
- এর আগে কোথাও ভ্রমণ করে থাকলে সেই ভ্রমণের ভিসার কপি লাগবে।
- হোটেল বুকিং করে থাকলে হোটেল বুকিং এর কপি।
এ সকল কাগজপত্র প্রয়োজন পড়বে আপনার মালয়েশিয়ার ভিজিট ভিসার জন্য। মালয়েশিয়া ভিজিট ভিসার ফরম সংগ্রহ করার জন্য আপনাকে মালয়েশিয়া আর দূতাবাস কেন্দ্র থেকে অনলাইন এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হবে।
আপনার যদি কোন জাতীয় স্থায়ী মালয়েশিয়ার বাসিন্দা হয়ে থাকে তাহলে খুব অল্প সময়ে আপনি মালয়েশিয়া যেতে সক্ষম হবেন তাদের রেফারেন্সের মাধ্যমে। সাধারণত ভিজিট ভিসার মেয়াদ হয়ে থাকে ৩০ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত।
মালয়েশিয়ার কোন ভিসা ভালো
মালয়েশিয়ার কোন ভিসা ভালো ইতোমধ্যেই আপনি মালয়েশিয়ার কয়েকটি ভিসা সমন্ধে জানতে পেরেছেন আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে কোন ভিসার মাধ্যমে মালয়েশিয়া গেলে ভালো হবে। আপনি যদি মালেশিয়ায় ফ্রি ভিসাতে যান তাহলে আপনি যেকোন কাজ করতে পারবেন।
আর আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট একটি ভিসাতে যান তাহলে আপনাকে সেই নির্দিষ্ট কাজের মধ্যেই থাকতে হবে। কিন্তু সকল দিক বিবেচনা করে বলা যায় মালয়েশিয়ার সকল ভিসার ভালো আপনি যে কোন ভিসাতে যেতে পারেন।মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত টাকা এখন জানতে পারলেন আপনি যদি অধিক পরিমাণে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে হবে।
এগুলোর মধ্যে আপনার যদি কোন পছন্দনীয় সেক্টর থেকে থাকে তাহলে তার মধ্যে আপনি যেতে পারেন যেমন অনেকে ফ্রি এবং অনেকে কোম্পানি ভিসা পছন্দ করেন কেননা এগুলো ভিসাতে অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।
মালয়েশিয়া যেতে কত বছর লাগে
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী যে কোন কাজের জন্য কর্মী সর্বনিময়ে থাকা লাগবে ১৮ বছর যার ফলে সে মালয়েশিয়া যেতে পারবে। মালয়েশিয়া অবশ্যই কাজের ধরন ও যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মীর বয়স কে প্রাধান্য দেন। যাদের বয়স বেশি তাদেরকে যেকোনো কাজ দেন না মালয়েশিয়াতে কেননা সেখানে বয়স অনুযায়ী কাজ দেওয়া হয়।
আপনার বয়স যদি ২৫ থেকে ৩০ বছর হয়ে থাকে তাহলে আপনি যে কোন ধরনের কাজে প্রাধান্য পাবেন নিমিষে। কেননা আপনার মাধ্যমে এ সকল কাজ নিমিষে করা সম্ভব হবে বিশেষ করে ফ্যাক্টরি ভিসায় এই অধিকার দেওয়া হয়ে থাকে।
এর মাধ্যমেও অনেকেই অনেক কাজের মধ্যে গরমিল করে দেওয়া হয়। বর্তমান সময়ে তরুণদের জন্য মালয়েশিয়ার ভিসা খুব সহজ। দালালের মাধ্যমে পড়ে অনেকে সর্বহারা হয়ে যাচ্ছেন এই মালয়েশিয়া গিয়ে। আপনি মালয়েশিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার কাজ ও আপনার কোম্পানি সম্বন্ধে সঠিক ধারণা নিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত সময় লাগে
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে। কেননা আপনার আবেদন থেকে শুরু করে যাবতীয় কাগজপত্র ফিলাপ করতে সময় লাগে এবং আপনার সকল তথ্য প্রশাসনের জন্য দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে। আপনার সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলে আপনি দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই মালয়েশিয়া চলে যেতে পারবেন।
এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন বিমানে কত সময় লাগে মালয়েশিয়া যেতে। তাহলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার দূরত্ব কত চলুন দূরত্ব জেনে আসি, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ার দূরত্ব হচ্ছে ২,৬৪২ কিলোমিটার। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে বিমানে টাইম লাগে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। এছাড়াও কিছু যাবতীয় সমস্যা থাকলে কিছুটা সময় বেশি লাগতে পারে।
মালয়েশিয়ার বিমানের টিকিটের মূল্য কত
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে পাসপোর্ট ও ভিসা। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজন হচ্ছে বিমানের টিকিট যার মূল্য নির্ভর করে বিমানের ওপর। সাধারণত বিমানের টিকিটের মূল্য ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয়ে থাকে।
সকল বিমানের একই রকম ভাড়া হয় না ভাড়া নির্ভর করে বিমানের ওপর সব সময়। মালয়েশিয়া হচ্ছে একটি চমৎকার জায়গা যা মানুষ ভ্রমণের জন্য যায়। বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ক বন্ধুত্ব থাকার ফলে খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
অন্যান্য রাষ্ট্রের থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া খুব সহজ কিন্তু বর্তমানে মালয়েশিয়ার ভিসা পাওয়াটা কঠিন হয়ে পড়ছে আস্তে আস্তে। বর্তমানে সকল কিছুর পাশাপাশি বিমানের টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জীবিকা নির্বাহের জন্য মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত টাকা বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক যুবক জীবিকা নির্বাহের জন্য চলে যাচ্ছেন মালয়েশিয়াতে। মালয়েশিয়াতে যাওয়ার পরে বাংলাদেশী যুবকরা নানান কাজের সাথে সংযুক্ত হয়ে জীবিকা নির্বাহের পথ খুঁজে বের করছেন। বর্তমানে অন্য দেশে যাওয়ার থেকে অত্যন্ত সহজ হচ্ছে মালয়েশিয়া গিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা।
মালয়েশিয়া যাওয়া অত্যন্ত সহজ হলেও দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার ভিসা পাওয়া। মানুষের চাহিদার ওপর নির্ভর করে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ভিসার দাম। আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ২ থেকে ৪ লাখ টাকা। কাজের ভিসা এবং অন্যান্য ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ৪ থেকে ৬ লাখ টাকা।
মালয়েশিয়া যাওয়ার পরে আপনার যদি ভাল কোন কাজের অভিজ্ঞতা থেকে তাহলে খুব সহজে অধিক পরিমাণে মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। অনেকেই কাজের অভিজ্ঞতা নিয়েই মালয়েশিয়া যাচ্ছেন এবং সফলতা অর্জন করছেন।
মালয়েশিয়া যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই যে কোন একটি কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে যাওয়া আপনার জন্য কার্যকরী হতে পারে যার ফলে আপনি অধিক পরিমাণে মুনাফ অর্জন করতে সক্ষম হবেন।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url