পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষন রাখা উচিত [বিস্তারিত দেখুন]

আপনার যদি মাথায় চুল না থাকে বা মাথার চুল পড়ে যায় তাহলে আপনি কিভাবে মাথায় আবার নতুন ভাবে চুল গজাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। চুলের জন্য কিভাবে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে হয় এবং কতখন পেঁয়াজের রসমাথায় রাখতে হয় জানার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটা মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

মাথায় নতুন চুল গজানোর জন্য পেঁয়াজের রস ব্যবহারের নিয়মঃ

আসলেই কি পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে বা নতুন চুল গজায় চলুন দেখে আসিঃ

গবেষণায় বিজ্ঞানী বলেছেন যে পিঁয়াজের রস এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সালফার কম্পনেন্ট। পিঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে সালফার কম্পনেন্ট থাকার জন্য চুল পড়া বন্ধ করতে ও নতুন চুল গজাতে অনেক সাহায্য করে।

 আপনি যদি এই পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার কিছুদিনের মধ্যেই নতুন চুল গজাবে এবং পিঁয়াজের রসে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই যা বৈজ্ঞানিক দ্বারা পরিক্ষীত।

পেঁয়াজের রস কিভাবে মাথায় মাখবেনঃ

আপনি পেঁয়াজকে কেটে সাথে সাথে আপনার মাথায় ঘষতে পারেন বা ব্যালেন্ডার দিয়েও রস  করে নিতে পারেন তারপরে আপনি আপনার মাথায় ভালোভাবে মাখতে পারেন। পেঁয়াজের রসের সাথে আপনি নারকেল তেল বা অলি-অয়েল তেলও ব্যবহার করতে পারেন। পেঁয়াজের রসের সাথে মধু মিশাল করে আপনার মাথায় মাখলেও অনেক উপকার পাবেন।

পেঁয়াজের রস মাথায় কতক্ষণ রাখবেনঃ

পেঁয়াজের রস আপনি আপনার মাথায় ২৫ থেকে ৩০ মিনিট রাখতে পারেন তারপরে আপনি ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে পুরো মাথাকে ধুয়ে ফেলতে পারেন। আপনি যেকোনো সময় আপনি এই পেঁয়াজের রস মাথায় মাখতে পারেন।

যে সকল খাবার খেলে চুলের গ্রোথ ভালো হবে এবং নতুন ভাবে চুল গজাবেঃ

আমাদের প্রতিনিয়ত চুল পড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে ভিটামিন ও প্রোটিনের অভাব। টেনশনের কারনেও চুল পড়া বাড়তে থাকে। যারা অল্প বয়সে বেশি টেনশন করে তাদের মাথার চুল অল্প বয়সেই পড়ে যায়। এর জন্য আমাদের কখনোই অতিরিক্ত টেনশন করা যাবেনা।

  • চুল পড়া কমাতে ডিমের উপকারিতা অনেক রয়েছে। ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন যা আমাদের চুল পড়া কমাতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। চুলের সমস্যার জন্য দৈনন্দিন দুইটা থেকে তিনটা ডিম খাওয়া প্রয়োজন।
  • গরুর মাংস রয়েছে জিং এবং সেলেনিয়াম যা খাবার মাধ্যমে আপনার চুল পড়া কমাতে এবং নতুন চুল গজাতে অনেক সাহায্য করে। যাদের চুল পড়ছে বা যারা নতুন চুল গজাতে চান তারা মাঝেমধ্যে এই গরুর মাংস খাওয়ার চেষ্টা করবেন যা চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত দুধ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে যাদের চুল পড়ে যাচ্ছে বা নতুন চুল গজাতে চাচ্ছেন। এই দুধ চুলের জন্য অনেক উপকারী যা চুলকে সতেজ রাখতে ও গজাতে সাহায্য করে।
  •  চুলের জন্য মাছেরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কিন্তু মাছের মধ্যে সামুদ্রিক মাছ খাওয়া আপনার জন্য উচিত। সামুদ্রিক মাছ হার্ট ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সামুদ্রিক তেল যুক্ত মাছ খাওয়ার মাধ্যমে আপনার চুলের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • শরীরের জন্য যেমন পানির বিকল্প নেই তেমনি নিয়মিত পানি খাওয়ার বিকল্প নেই চুল পড়া কমাতে। নিয়মিত পানি না খাওয়ার কারণে চুল পড়া বাড়তে থাকে যা কমানো অসম্ভব হয়ে যায়। চুল পড়া কমাতে প্রতিনিয়ত বেশি করে পানি পান করতে হবে। 
  • শরীরকে সুস্থ রাখতে ও চুল পড়া কমাতে তাজা শাক সবজি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাজা শাকসবজির মধ্যে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট ফিক্সড ফুড। যা শরীর সুস্থ রাখতে ও চুলকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিনিয়ত তাজা শাকসবজি খেলে চুল পড়া অনেক কমে যাবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
  • আমাদের প্রতিনিয়তই খাদ্য তালিকায় তাজ ফল থাকা প্রয়োজন যা আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত তাজা ফলমূল খেলে অনেকাংশেই চুল পড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চুলের গোড়া শক্ত করতে তাজা ফল অনেক সাহায্য করে থাকেযেমন কমলা,লেবু, মালটা ইত্যাদি এ ফলগুলো বেশি বেশি খেতে হবে।
  • চুলের জন্য প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা রয়েছে টক দইয়ে। টক দই এ প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা শরীর ও চুলকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
  পেঁয়াজের রস
  • চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে রোদের আলো। রোদ থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়, যা চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।অনেকে আমরা কালো হয়ে যাওয়ার ভয়ে রোদের আলোতে যায় না যার ফলে অল্প বয়সেই চুল পড়া শুরু হয়ে যায়।
  • চুল শুকানোর জন্য অনেকে হেয়ার ডিয়ার ব্যবহার করে থাকি যা চুলকে রোদের আলো থেকে বিচ্ছিন্ন করছে।
  • অনেক সময় নানান রোগের কারণেই চুল পড়ে যায় যার জন্য আপনাকে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মেনে কাজ করলে চুল পড়া এবং নতুন চুল গজানোর উপায় পাওয়া যায়।
  • এই পেঁয়াজের রস মাথার জীবাণু দূর করে ও রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে আপনার সমস্যা হলে পেঁয়াজের রসের সাথে আপনি গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন।

কিভাবে চুলের খুশকি দূর করবঃ

চুলের খোকসি দূর করার জন্য আপনাকে পিঁয়াজের রস ও অ্যালোভেরা একত্রে মিশিয়ে আপনি মাথায় মাখতে পারেন তাহলে আপনি খুব অল্প সময়ে খোকসি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। অ্যালোভেরা অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আপনি এমনিতেও আপনার মাথায় মাখতে পারেন যা আপনার চুলকে সতেজ রাখবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url