সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো - সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম কত

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো ও সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম কত আপনি নিশ্চয়ই জানতে চাচ্ছেন। প্রিয় পাঠক আপনি সৌদি আরব সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ে ফেলুন।

সৌদি-আরব-কোন-ভিসা-ভালো-সৌদি-আরবের-ফ্রি-ভিসার-দাম-কত

বর্তমান সময়ে অনেকেই সৌদি আরব যেতে চাচ্ছেন কিন্তু সৌদি আরবের জন্য কোন ভিসা ভালো জানেন না। সৌদি আরব যাওয়ার জন্য ফ্রি ভিসার দাম কত সবকিছু জানতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেল থেকে।

সূচিপত্রঃসৌদি আরব কোন ভিসা ভালো - সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম কত দেখুন

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো 

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো জানার জন্য আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। মুসলমানদের জন্য সৌদি আরব হচ্ছে একটি পবিত্র দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে আসেন। অনেকে হজ্ব করার উদ্দেশ্যে আসেন, অনেকে আসেন কাজের উদ্দেশ্যে এবং অনেকে আসেন পড়াশোনার জন্য।

আপনি যদি কখনো সৌদি আরব যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই জেনে নিতে হবে সৌদি আরবের কোন ভিসা ভালো। যার ফলে আপনি খুব অল্প সময়ে আপনার জন্য উপযুক্ত ভিসা নির্বাচন করতে পারবেন এবং সফল হবেন। সৌদি আরবের ভিসা অনেকটা আলাদা হয়ে থাকে আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী।

বর্তমান সময়ে অনেক যুবক কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যেতে চান যার ফলে তাদের জন্য এমন ভিসা নির্বাচন করতে হবে যেটিতে খরচ কম পড়বে। আজকের এই আর্টিকেলে সৌদি আরবের কোন ভিসা ভালো সৌদি আরবের কি কি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সবকিছু সবকিছু আলোচনা করা হবে। সবকিছু জানার জন্য আপনাকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে ফেলতে হবে একবার।

বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ সৌদি আরব যাচ্ছেন বৈধভাবে। কেউ বাজাচ্ছেন কাজের উদ্দেশ্যে আবার কেউ যাচ্ছেন হজ্বের উদ্দেশ্যে। সৌদি আরবের বিভিন্ন ধরনের ভিসার জন্য সৌদি সরকার বিভিন্ন অফার করে থাকেন। আপনার উদ্দেশ্য এবং ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা আলাদা হয়ে থাকে। 

সৌদি আরবের কোন ভিসা গুলো ভালো দেখুন 

  • ক্লিনার ভিসা 
  • মাজরার ভিসা 
  • সৌদির ফ্রি ভিসা
  • আমেল আইদি ভিসা 
  • সুপার মার্কেটের ভিসা 
  • চাওয়াক খাছ ভিসা 
  • সৌদি কোম্পানির ভিসা 
  • আমেল মঞ্জিল ভিসা 

 ক্লিনার ভিসা সৌদি আরব 

ক্লিনার ভিসা হচ্ছে যাদের কোনো যোগ্যতা ও দক্ষতা নেই তাদের জন্য। বর্তমান সময়ে অনেকে রয়েছে যাদের কোনো যোগ্যতা বা দক্ষতা নেই কিন্তু সৌদি আরব যেতে যাচ্ছেন তাদের জন্য পারফেক্ট হচ্ছে ক্লিনার ভিসা। আপনি ক্লিনার ভিসায় আবেদন করে সৌদি আরবে কাজ করতে পারে। আপনার যদি কাজের মনোযোগ থাকে এবং আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম করতে পারেন,

তাহলে ক্লিনার ভিসায় সৌদি আরবকে অনেক অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। সৌদি সরকার ক্লিনার ভিসা দিয়ে থাকেন মূলত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য। আপনাকে সৌদি আরব গিয়ে সেখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে যার ফলে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এই ক্লিনার ভিসা থেকে। বর্তমানে অনেকেই রয়েছে যাদের স্মার্টনেস বেশি তাদের জন্য কেনার ভিসা কখনোই নয়।

সৌদি আরবে আপনি ক্লিনার ভিসায় গিয়ে যদি সেখানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করেন তাহলে সেখানে আপনাকে কাজে রাখা হবে না যার ফলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন না। বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক রয়েছে যারা সৌদি আরব গিয়ে এই ক্লিনার এর কাজ করে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন।

সৌদি আরব যাওয়ার জন্য অন্যান্য ভিসা থেকে ক্লিনার ভিসায় সৌদি আরব যেতে অনেক কম সময় লাগে এবং ক্লিনার ভিসার এর খরচ অনেক কম। বর্তমান সময়ে সৌদি আরবের জনপ্রিয় ভিসার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ক্লিনার ভিসা যেখানে সকলেই কাজ করতে পারবেন কোন অভিজ্ঞতা ছাড়াই। সৌদি আরবে প্রতিবছর হজ্বের কারণে সৌদি সরকার অনেক শ্রমিক নিয়ে থাকেন ক্লিনার ভিসায়।

আবার অনেকে বাসা-বাড়ির জন্য ক্লিনার নিয়ে থাকেন। বর্তমান সময়ে সৌদি আরবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রচুর মানুষ নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে এবং শ্রমিকদের নানান কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনি যদি কোন অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা ছাড়াই সৌদি আরবকে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার জন্য ক্লিনার ভিসায় উপযোগী। 

মাজরার ভিসা সৌদি আরব

মাজরার ভিসা মূলত ব্যবহার করা হয়ে থাকে সৌদি আরবের বাগান শ্রমিকদের জন্য। বর্তমান সময়ে সৌদি আরবে প্রচুর পরিমাণে বাগান রয়েছে যার ফলে তাদের শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। বর্তমান সময়ে সৌদি সরকার বাগান শ্রমিকদের নিয়োগের জন্য মাজরার ভিসা চালু করেছেন। যারা সৌদি আরবের বাগানে কাজ করতে চান তাদের জন্য মাজরার ভিসায় আবেদন করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ইতালিতে কোন কাজের বেতন কত - ইতালির ভিসার দাম কত

আপনি যদি কোন যোগ্যতা ও দক্ষতা ছাড়াই ইনকাম শুরু করতে চান সৌদি আরব থেকে তাহলে আপনি মাজরার বিষয়ে আবেদন করতে পারেন। অনেকে এই মাজরার ভিসায় গিয়ে সৌদি আরবে অনেক টাকা ইনকাম করছেন যা আপনিও করতে পারেন। কিন্তু অবশ্যই মনে রাখবেন বাগানের কাজ অনেকটা সহজ নয় কেননা বাগানের কাজ করার জন্য আপনাকে শক্তি প্রয়োগ করতে হবে।

আপনি যদি রোগা পাতলা হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য মাজরার ভিসা নয়। সৌদি আরব গিয়ে ইনকাম করার জন্য যেমন কোন যোগ্যতা প্রয়োজন হয় না তেমনি মাজরার ভিসার জন্য খরচ তুলনামূলক অনেক কম। অনেকেই সৌদি আরব গিয়ে কাজ করতে চান কিন্তু কি কাজ করবেন জানেন না এবং কোনটা আপনার জন্য ভালো হবে জানেন না।

সৌদি আরবের মাজরার ভিসার চাহিদা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে বাংলাদেশসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের শ্রমিকদের জন্য। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ এই মাজরার ভিসায় সৌদি আরব গিয়ে বাগান এর কাজ করে থাকেন। যাদের বাগানে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং কৃষি কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের জন্য মাজরার ভিসা অন্যতম।

শক্তি প্রয়োগ করে কাজ করার জন্য মাজরার ভিসা সৌদি আরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। আপনি যদি অল্প খরচে সৌদি আরবে ইনকাম করতে চান এবং কোন দক্ষতায় ছাড়াই তাহলে আপনার জন্য অন্যতম হচ্ছে সৌদি আরবের মাজরার ভিসা।

সৌদির ফ্রি ভিসা 

বর্তমান সময়ে সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা বন্ধ রয়েছে। সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা নিয়ে কাজ করতে হলে আপনাকে অনেক টাকা খরচ করতে হবে বর্তমান সময়ে। কেননা ফ্রি ভিসার সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি থাকে অন্যান্য ভিসার চাইতে। দালালরা ফ্রি ভিসা সম্পর্কে অনেক ধরনের বিভান্তিকর কথা বলে থাকেন এবং তথ্যছরিয়ে থাকেন।

ফ্রি ভিসায় যাওয়ার পূর্বে আপনাদের অবশ্যই সবকিছু জেনেশুনে এবং বাংলাদেশ থেকেই কি কাজের জন্য যাচ্ছেন তা চেক করে নিবেন। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ প্রতারণা শিকার হচ্ছে ফ্রি ভিসায় বিদেশ গিয়ে। দালালরা ভুল তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই ফ্রি ভিসার কথা বলে। বর্তমান সৌদি সরকার সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা বন্ধ রেখেছেন।

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ফ্রি ভিসায় অনেকে সৌদি আরব দিয়ে থাকেন এবং এর আগেও গিছেন। সৌদি আরব যাওয়ার পর অনেকেই কাজের কোন সন্ধান পান না এবং পরবর্তীতে কাজ পেলে অনেক কষ্টের কাজ পেয়ে থাকেন। সেজন্য আপনি ফ্রি ভিসায় যেকোন রাষ্ট্রে যাওয়ার আগে সবকিছু যাচাই করে নেবেন বাংলাদেশে থাকা অবস্থায়।

বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির যুগ আপনি যদি সব তথ্য দিয়ে অনলাইনে সার্চ করেন তাহলে আপনি কি কাজের জন্য বিদেশে যাচ্ছেন, আপনার বেতন কত হবে, আপনার থাকার জায়গা কেমন হবে, আপনি কি কি করতে হবে আপনার সকল কিছুই অনলাইনের মাধ্যমে চেক করে নিতে পারবেন বর্তমান সময়ে। অনেক দালাল রয়েছে যারা আপনাকে বলবে ফ্রি ভিসা ভালো।

সেখানে সবকিছু ভালো তাৎক্ষণিক আপনি সেই কোম্পানির নাম লিখে সব কিছু জানতে পারবেন বাংলাদেশ থেকেই কি কি সুযোগ সুবিধা রয়েছে। আপনি যেকোনো রাষ্ট্রেই যান না কেন অবশ্যই আপনি সবকিছু যাচাই-বাছাই করে নিবেন বাংলাদেশে থাকা অবস্থায়। সৌদি ফ্রি ভিসা বর্তমান সরকার সাধারণত বন্ধ রেখেছেন। 

আমেল আইদি ভিসা সৌদি আরব

আমেল আইদি ভিসা হচ্ছে কফিলের (কাজের মালিক) অধীনে কাজ করা। সৌদি আরবে অনেকে আমেল আইদি ভিসায় কাজ করে থাকেন এবং মাসে হাজার হাজার টাকা নিয়ে পড়ে থাকেন। আমেল আইদি ভিসা পাওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক হচ্ছে কফিলের অনুমতি। আপনি যদি কফিলের অনুমতি পান তাহলে সৌদি আরব যেতে পারবেন আমেল আইদি ভিসায়।

আমেল আইদি ভিসায় সৌদি আরব আসার পর আপনি কফিলের অনুমতি ছাড়া কোন কাজ করতে পারবেন না। আপনার যাবতীয় সব কিছুর জন্য কফিলের অনুমতি বাধ্যতামূলক। আমেল আইদি ভিসা পাওয়ার জন্য কফিলকে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা বা ফ্রি জমা দিতে হবে। অনেকেই সৌদি আরবে আমেল আইদি ভিসায় গিয়ে কফিলের যাবতীয় কাজ করে থাকেন।

আমেল আইদি ভিসায় কাজ যেমন বাসা বাড়ির কাজ, কোকিলের ড্রাইভার, কফিলের কোম্পানি দেখাও সোনা ইত্যাদি। বর্তমানে অনেকেই নানান জায়গায় দেখে থাকবেন সৌদি আরব মানুষ কাজে যাওয়ার পর বাসায় যখন কথা বলে তখন বলে যে আমার কফিল ভালো। আবার অনেকে বলে আমার কফিল ভালো না বা কোফিল আমার কাজ পছন্দ করেন না।

সাধারণত এ সকল মানুষ বিদেশ গিয়েছেন আমেল আইদি ভিসায়।আমেল আইদি ভিসায় সৌদি আরব গেলে আপনার নিজের কোন ইচ্ছা থাকবে না সবকিছুই কফিলের উপর নির্ভর করবে। কফিল আপনাকে যে সকল কাজ করতে বলবে আপনাকে তাই করতে হবে এবং কফিলের কথা অনুযায়ী চলতে হবে।

আপনি হয়তো ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন আমেল আইদি ভিসা কাকে বলা হয় এবং এর কাজ গুলো কি কি। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ সৌদি আরব যাচ্ছেন আমেল আইদি ভিসায় এবং আছে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন। 

সুপার মার্কেট সৌদি আরব 

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো এর মধ্যে একটি হচ্ছে সুপার মার্কেট। সুপার মার্কেট ভিসা বলতে বুঝানো হয় সৌদি আরবের মার্কেটে যে সকল শ্রমিক নিয়োগ হয় তাদেরকে। যারা সৌদি আরব গিয়ে সুপার মার্কেটে কাজ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য রয়েছে সৌদি আরবের সুপার মার্কেট ভিসা। বর্তমান সময়ে সৌদি আরবে প্রচুর পরিমাণে সুপারমার্কেট তৈরি হয়েছে।

সুপার-মার্কেট-সৌদি-আরব

যার ফলে সেখানে প্রতিবছর সুপারমার্কেট ভিসায় শ্রমিক নেওয়া হয় বিভিন্ন দেশ থেকে। আপনি যদি সৌদি আরব গিয়ে সুপার মার্কেটে কাজ করেন এবং ওভারটাইম কাজ করতে পারেন তাহলে আপনার বেতন অনেক বেশি হবে। সুপার মার্কেটে ওভারটাইম কাজ করার সুযোগ রয়েছে এই সৌদি আরবে। আপনি যদি জানতে চান,

অধিক পরিমাণে ইনকাম করার জন্য কোন ভিসা ভালো হবে তাহলে আপনি সুপারমার্কেট ভিসায় সৌদি আরব যেতে পারেন। সুপারমার্কেট বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় একটি শ্রমিকদের ইনকামের মাধ্যমে। বাংলাদেশের প্রচুর শ্রমিক রয়েছে যারা সৌদি আরবের সুপার মার্কেটে কাজ করেন। সৌদি সরকার বিভিন্ন সুপার মার্কেটের জন্য শ্রমিক নিয়ে থাকেন এই সুপারমার্কেট ভিসার মাধ্যমে।

আপনার যদি কাজের কোন ধারনা না থাকে এবং দক্ষতাও না থাকে তাহলে আপনি পথিক পরিমাণে ইনকামের জন্য সৌদি আরবের সুপার মার্কেটে যেতে পারেন। বর্তমান সময়ে সৌদি আরবের সুপার মার্কেটের ভিসার চাহিদা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। যারা মার্কেটে কাজ করতে চান তাদের জন্য সৌদি আরব দিচ্ছেন সুপারমার্কেট ভিসা। 

চাওয়াক খাছ ভিসা সৌদি আরব 

চাওয়াক খাছ ভিসা হচ্ছে ড্রাইভারদের জন্য। যারা সৌদি আরব গিয়ে ড্রাইভিং করতে চান বা ড্রাইভার এর কাজ করতে চান তাদের জন্য সৌদি আরব দিচ্ছেন চাওয়াক খাছ ভিসা। সৌদি আরবে আপনাকে নিজস্ব কোন মালিকের (যার অধীনে কাজ করবেন) অধীনে কাজ করতে হবে। চাওয়াক খাছ ভিসায় সৌদি আরব গিয়ে আপনাকে মালিকের অধীনে ড্রাইভিং করতে হবে।

কখনোই মালিকের অনুমতি ছাড়া কোন কাজ করতে পারবেন না। সবকিছুই করতে হবে আপনাকে মালিকের কথা অনুযায়ী। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ চাওয়াক খাছ ভিসায় সৌদি আরব গিয়ে মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে সফল হচ্ছেন। আপনার যদি ড্রাইভিং জানা থাকে তাহলে আপনি সৌদি আরব এর চাওয়াক খাছ ভিসায় আবেদন করতে পারেন।

বর্তমানে অনেকেই ড্রাইভিং শিখেই সৌদি আরব যেতে চাচ্ছেন এবং কিভাবে যাবেন জানেন না তাদের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে সৌদি আরবের চাওয়াক খাছ ভিসা। আপনার কাজের উপর যদি আপনার মালিক খুশি হয় তাহলে আপনি অধিক ইনকাম করতে সক্ষম হবেন এই চাওয়াক খাছ ভিসা থেকে।

বর্তমান সময়ে অধিক জনপ্রিয় কাজের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে একটি সৌদি আরবের চাওয়াক খাছ ভিসা। আপনি যে সৌদি আরবে ডাইভিং করতে চান এবং অধিক পরিমাণ ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার জন্য সৌদি আরবের ভিসা হচ্ছে চাওয়াক খাছ।

সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসা 

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো এর মধ্যে অপরটি হচ্ছে সৌদি আরবের সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসা। কোম্পানির ভিসা বর্তমান সময়ে সবথেকে বেশি ভালো। সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসায় রয়েছে অধিক পরিমাণে সুযোগ-সুবিধা। আপনি যদি সৌদি আরবের কোম্পানিতে চাকরি করতে চান তাহলে আপনি সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসায় আবেদন করতে পারেন।

সৌদি আরবে কোম্পানি কাজের বেতন অধিক পরিমাণে এবং আপনার কাজের ধরন ভালো হলে আরো ইনকাম করতে পারবেন। সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসা শুধুমাত্র দক্ষ শ্রমিকের জন্য। আপনার যদি সৌদি আরবের কোম্পানিতে চাকরি করতে হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সাধারণ মানুষ কখনোই সৌদি আরবের কোম্পানিতে জব করতে পারবেনা।

যারা অধিক পরিমাণে ইনকাম করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসা সর্বোত্তম। আপনি নিজেকে দক্ষ করে তুলুন তারপরে সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসার জন্য আবেদন করুন। সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসায় আপনি গিয়ে কাজ করতে পারলে অধিক পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন এবং আপনার সুযোগ সুবিধা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।

সৌদি আরবে কোম্পানির জন্য দক্ষ লোক প্রয়োজন সেজন্য সৌদি সরকার সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসা চালু করেছেন। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে সৌদি আরব থেকে মাসে অধিক পরিমাণে ইনকাম করছেন।

সৌদি আরবের সব থেকে সুযোগ সুবিধা ও ইনকাম বেশি হচ্ছে এই কোম্পানির ভিসায়। আপনার যদি দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি সৌদি আরবের অন্যান্য ভিসা আবেদন না করে সৌদি আরবের কোম্পানি হিসেবে আবেদন করতে পারেন যেখান থেকে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। 

আমেল মঞ্জিল ভিসা সৌদি আরব 

আমেল মঞ্জিল ভিসা হচ্ছে সৌদি আরবের বাসা বাড়িতে কাজের জন্য। সৌদি সরকার সাধারণত বাসা বাড়িতে কাজের জন্য আমেল মঞ্জিল ভিসা দিয়ে থাকেন। আমেল মঞ্জিল ভিসার কাজ যেমন: দারোয়ান, কেয়ারটেকার, যাবতীয়। সৌদি আরব যাওয়ার জন্য আমেল মঞ্জিল ভিসায় গেলে মালিকের (যার অধীনে কাজ করবেন) অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও কাজ করা যাবে না।

মালিক আপনাকে যে সকল কাজ দিবে সে সকল কাজ আপনাকে পালন করতে হবে আমেল মঞ্জিল ভিসায়। বর্তমানে অনেকেই সৌদি আরব গিয়ে আমেল মঞ্জিল ভিসায় কাজ করে থাকেন। যাদের কাজের কোন দক্ষতা নেই এবং কাজ সম্বন্ধে ধারণা নেই তাদের জন্য হচ্ছে আমেল মঞ্জিল ভিসা।

 আমেল মঞ্জিল ভিসা প্রতিবছর নবায়ন করতে হয় এবং এতে খরচ পড়ে প্রায় এক লাখ বিশ হাজার টাকা মত। বর্তমান সময়ে আমেল মঞ্জিল ভিসা অনেক চাহিদা রয়েছে যার ফলে প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদি আরব যাচ্ছেন কাজের উদ্দেশ্যে মানুষ। এক কথায় বলতে গেলে আমেল মঞ্জিল ভিসা হচ্ছে সৌদি আরবের বাসা বাড়িতে কাজের জন্য।

সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে 

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো ইতোমধ্যে আপনি জানতে পেরেছেন আর যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলের প্রথমেই দেখতে পারেন। বর্তমান সময়ে অনেকেই সৌদি আরব যেতে চাচ্ছেন এবং সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে জানেন না চলুন জেনে আসি। সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে তা সব সময় নির্ভর করবে আপনার ভিসা ক্যাটাগরির উপর।

আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত - টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কত

ভিসার দাম সব সময় নির্ভর করবে আপনি কত মেয়াদ অনুযায়ী সৌদি আরবে যেতে যাচ্ছেন এবং আপনার ভিসার ক্যাটাগরি কি। আপনাকে প্রথমেই নির্ধারিত করতে হবে আপনি কোন বিষয়ে সৌদি আরব যেতে যাচ্ছেন। তারপরে আপনি সেই ভিসার দাম জানতে হবে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে গিয়ে থাকেন।

অনেকেই বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব হজ্ব ও ওমরার জন্য জান তাদের জন্য কোন ধরনের কোন ভিসার প্রয়োজন নেই। সৌদি আরবের হজ্ব ও উনার জন্য খরচ অবশ্যই কম পড়বে। সৌদি আরবের ভিসা সবসময়ই নির্ভর করে আপনার কাজের ধরণ অনুযায়ী সেজন্য আপনার পনার নির্ধারিত কাজের উপর খরচ পড়বে সৌদি আরব যেতে।

অনেকে অনেক কারণেই সৌদি আরব গিয়ে থাকেন সেজন্য নির্ধারিত ভাবে বলা যায় না সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে।

এক নজরে সৌদি আরবের ভিসার দাম 

  • মাজরার ভিসার জন্য আপনার খরচ পড়বে ৩-৪ লক্ষ টাকা।
  • ক্লিনার ভিসার জন্য আপনার খরচ পড়বে ৪-৫ লক্ষ টাকা। 
  • আমেল মঞ্জিল ভিসার জন্য খরচ পড়বে ৩-৪ লক্ষ টাকা।
  • সুপার মার্কেট ভিসার জন্য খরচ পড়বে ৪-৫ লক্ষ টাকা। 
  • চাওয়াক খাছ ভিসার জন্য খরচ পড়বে ৪-৫ লক্ষ টাকা।
  • আমেল আইদি ভিসায় জন্য করা পড়বে ৪-৫ লক্ষ টাকা। 
  •  সৌদি আরব ফ্রি ভিসার জন্য খরচ পড়বে ৫-৬ লক্ষ টাকা। 
  • ওমরা ভিসার খরচ পড়বে ১-২ লক্ষ টাকা। 

সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম কত

সৌদি আরবে ফ্রি ভিসায় যারা যেতে যাচ্ছেন তাদের অবশ্যই খরচ করতে হবে ৫-৬ লক্ষ টাকা। আপনাকে অবশ্যই ফ্রি ভিসায় সৌদি আরব যাওয়ার জন্য কোন কাজগুলো শিখে আসা উচিত জানেন কি। সৌদি আরবে আপনি নতুন অবস্থায় এসে কাজ নাও খুঁজে পেতে পারেন সেজন্য আপনাকে অবশ্যই পাইপ ফিটিং এর কাজ কিংবা ইলেকট্রিক ও কনস্ট্রাকশন কাজ জানা অতি জরুরী।

সৌদি-আরবের-ফ্রি-ভিসার-দাম-কত

কেননা আপনি যদি এ সকল কাজ জেনে থাকেন তাহলে সৌদি আরবে এসে আপনি খুব অল্প সময়ে আপনার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন। বর্তমানে সৌদি আরবের এ সকল কাজের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে যার ফলে আপনি অল্প সময়ে আপনার কর্মসংস্থান ও অধিক পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ইলেকট্রনিক ও কনস্ট্রাকশন এর জন্য সৌদি আরব এর সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এবং এ সকল কাজের বেতন অত্যাধুনিক বেশি রয়েছে সৌদি আরবে। বর্তমান সময়ে সৌদি সরকার ফ্রি ভিসা বন্ধ রেখেছেন। সৌদি আরবে ফ্রি ভিসায় যেতে হলে আপনাকে কোন না কোন ভিসার অধীনে আসতে হবে।

ফ্রি ভিসার দাম কত সৌদি আরবের

ফ্রি ভিসার দাম ৫-৬ লক্ষ টাকা। সৌদি আরবে আসার পর আপনাকে ইকামা তৈরি করতে হবে। সৌদি আরবে ইকামার খরচ পড়বে মেয়াদ অনুযায়ী ৯ হাজার রিয়াল থেকে ১৫ হাজার রিয়াল পর্যন্ত। ইকামার সর্বনিম্ন মেয়াদ হচ্ছে তিন মাস এবং সাধারণত ইকামা এক বছরের বেশি হয়ে থাকে। আপনার যদি কোন পরিচিত মানুষ থাকে সৌদি আরবে তাহলে আপনার জন্য সুবিধা হবে সৌদি আরব গিয়ে ফ্রি ভিসায় কাজ করার জন্য।

 আপনাকে সবসময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কেননা অনেক দালাল চক্র রয়েছে যারা আপনাকে ফ্রি ভিসার লোভ দেখিয়ে আপনার থেকে অর্থ হাতিয়ে নিবে। বর্তমানে সৌদি আরবে ফ্রি ভিসা বলতে কিছুই নেই সেজন্য আপনাকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সকল ভিসা আবেদন করার জন্য কিছু নিয়ম নীতিমালা রয়েছে সেগুলোর জন্য আপনাকে খরচ বহন করতে হবে।

যারা সৌদি আরব ফ্রি ভিসা যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই আজকের আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার বেতন সব সময় নির্ভর করবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের। বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য বিভিন্ন বেতন নির্ধারণ করা হয়ে থাকে সৌদি আরবে।

সৌদি আরব ফ্রি ভিসায় যাওয়ার আগে এ সকল নিয়মগুলো অনুসরণ করলে আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে সবকিছুই। বর্তমান সময়ে হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির যুগ যার মাধ্যমে আপনি সকল তথ্য বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে মাধ্যমে দেখতে পারবেন আপনার কোম্পানির নাম, আপনার কোম্পানির কাজ, আপনার বেতন, যাবতীয় সবকিছু।

সৌদি আরব ফ্রি ভিসার জন্য কি কি লাগে

বর্তমানে সৌদি আরবে ফ্রি ভিসা বলে কোন ভিসা বা ক্যাটাগরি নেই। এজন্য আপনাকে অন্যান্য যে কোন ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। বর্তমান সময়ে সৌদি আরবের জন্য অনেক ধরনের ভিসা রয়েছে যা আমরা আজকের এই আর্টিকেলের শুরুতেই আলোচনা করেছি। আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে পড়ে আসুন।

সৌদি আরবে কি কি কাজ রয়েছে কোন কাজের বেতন কত যাবতীয় সকল কিছু আর্টিকেলের শুরুতে বলা হয়েছে। সৌদি আরবের বেতন সবসময় নির্ভর করে ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী। বর্তমান সময়ে সৌদি আরবের কাজের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে সেজন্য প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক সৌদি আরব যাচ্ছেন।

কর্মসংস্থানের দিক দিয়ে সৌদি আরব গিয়ে আপনি খুব অল্প সময়ে আয় করতে সক্ষম হবেন এবং লাভবান হতে পারবেন। সৌদি আরবের ভিসার মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম ভিসা হচ্ছে কোম্পানির ভিসা। সৌদি আরবের কোম্পানির ভিসাতে আপনি বেতন বেশি পাবেন এবং সুযোগ সুবিধা বেশি পাবেন। সৌদি আরব যাওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্র আপনার প্রয়োজন হবে।

সৌদি আরবের ভিসার আবেদনের জন্য যা প্রয়োজন 

  • জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে। 
  • বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্ট (এক বছর মেয়াদ হতে হবে সর্বনিম্ন)।
  • করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
  • মেডিকেল রিপোর্টের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। 
  • পুলিশ ভেরিফিকেশনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
  • ভিসা আবেদন 
  • কাজের দক্ষতা সার্টিফিকেট থাকতে হবে (যদি আপনার দক্ষতা থাকে)।
  • কাজের অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট (যদি আপনার অভিজ্ঞতা থাকে)।
  • যাবতীয় সকল সহায়ক কাগজপত্র।

লেখক এর শেষ কথা 

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো এবং সৌদি আরবের ভিসার দাম কত আজকের আর্টিকেলে  আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি সৌদি আরব যেতে চান কিংবা সৌদি আরব সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি আরব যাওয়ার আগে সবসময়ই সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করে যাবেন। 

কখনো কোন দালালের কথা যাচাই-বাছাই বিহীন বিশ্বাস করবেন না। সৌদি আরব যাওয়ার জন্য যাবতীয় সকল কিছু বুঝে শুনে করবেন কখনোই প্রতারণার শিকার হবেন না। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন সৌদি আরবের অনেকগুলো ভিসা রয়েছে এবং এগুলোর মধ্যে কোন ভিসা ভালো। সৌদি আরবের কোন ভিসায় কোন কাজ করানো হয় এবং কাজের বেতন কত টাকা।

আরো আলোচনা করা হয়েছে সৌদি আরব গিয়ে কাজ না পেলে আপনি কিভাবে অতি দ্রুত কাজের সন্ধান করতে পারবেন এবং কি কি প্রয়োজন রয়েছে। নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেলটি পরে আপনি সৌদি আরব সম্বন্ধে বিস্তারিত সকল কিছু জানতে পেরেছেন।  আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url