বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে যেকোনো সময় টাকা পাঠানোর নিয়ম 2024
বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর জন্য নিশ্চয়ই আজকের আর্টিকেলে আপনি প্রবেশ করেছেন, তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন। বিদেশ থেকে কিভাবে টাকা পাঠাবে তা নিয়ে অনেকে দুশ্চিন্তা থাকে বিশেষ করে তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি।
ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর জন্য কি কি করতে হবে এবং কিভাবে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠালে খুব সহজেই বাংলাদেশ থেকে টাকা তুলতে পারবে। ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সবকিছু বিস্তারিত জানার জন্য আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃবিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম 2024 সর্বশেষ আপডেট
বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম দেখুন
বিদেশ থেকে বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকের টাকা পাঠানোর জন্য আপনার যে সকল বিষয় মাথায় রাখতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন । বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকের কর্তৃপক্ষ বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য একটি সুবিধা করেছেন। অন্যান্য ব্যাংকের চাইতে অতি দ্রুত যে কোন দেশ থেকে বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারবেন যেকোনো সময়।
আরো পড়ুনঃ সুইডেনে কোন কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি - কত টাকা লাগে সুইডেন যেতে
বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রথমে একটি ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হবে। বাংলাদেশের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় একটি ব্যাংক হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক যার সুযোগ সুবিধা অনেক রয়েছে অন্যান্য সকল ব্যাংকের চাইতে। অধিক সুবিধা থাকার ফলে আপনি বিদেশ থেকে অতি দ্রুত বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার পর আপনি যেকোন দেশ থেকে অতি দ্রুত আপনার নিজ একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবেন এবং আপনি যদি চান অন্য কাউকে টাকা পাঠাতে তাহলে সেই ব্যক্তির ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে পাঠাতে পারেন। আপনি যদি মোবাইলের মাধ্যমে সকল তথ্য এবং ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট রাখতে চান তাহলে সেলফিন অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। বর্তমান সময়ে অধিক জনপ্রিয় একটি অ্যাপ হচ্ছে সেলফি যা ইসলামী ব্যাংকের একটি অ্যাপস।
ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর জন্য প্রথমে আপনাকে একটি একউন্ট খুলতে হবে তারপরে যেকোনো দেশ থেকে অতি দ্রুত আবার পারবেন। বর্তমান সময়ে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সময় রেট ও ভালো পাওয়া যায় অন্যান্য ব্যাংকের চাইতে। ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে যে সকল কাগজ পাতি প্রয়োজন সেগুলো আপনাকে সাথে করে নিয়ে ব্যাংকে গিয়েও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
কিন্তু আপনি যেহেতু বিদেশ থেকে একাউন্ট খুলতে চাচ্ছেন এবং টাকা পাঠাতে যাচ্ছেন তাহলে আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি অ্যাপ্লিকেশন নামাতে হবে সেটির নাম হচ্ছে Cellfin। গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে লিখলেই প্রথমেই চলে আসবে তারপরে আপনি সেটিকে ইন্সটল করে নেবেন আপনার ফোনে। তারপরে যে সকল তথ্য চাইবে সে সকল সঠিক তথ্য দিয়ে সেলফিন অ্যাপটি খুলবেন।
সকল সঠিক তথ্য দেওয়ার পরে আপনার অ্যাকাউন্টটি তৈরি হয়ে যাবে। তারপরে আপনি চাইলে বিদেশ থেকে অবস্থানরত যেকোনো ইসলামী ব্যাংকের অফিস খুঁজে বের করতে হবে এবং সেখানে প্রয়োজনের সকল ডকুমেন্ট দিয়ে সাথে সাথে আপনি বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন। যাবতীয় সকল তথ্য দেওয়ার পরে যে সকল নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো অফিস পূরণ করে দিবে আপনাকে।
আপনি যাকে টাকা পাঠাতে যাচ্ছেন তার পুরো নাম এবং মোবাইল নাম্বার সঠিক দিবেন। আপনি যে সেলফি না এখন খুলেছেন সেটিরও প্রয়োজন হতে পারে ব্যাংকে। বর্তমানে সেলফিন এর ফ্রি একাউন্ট ভার্চুয়াল কার্ড নাম্বার দিয়ে খুব সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা পাঠাতে পারবেন। এ সকল নিয়ম মারলে আপনি অতি দ্রুত যেকোনো দেশ থেকে বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারবেন।
বিদেশ থেকে টাকা ইসলামী ব্যাংকে এসেছে কিনা কিভাবে বুঝবো
বিদেশ থেকে টাকা ইসলামী ব্যাংকে এসেছে কিনা সেটা বুঝার জন্য বিশেষ করে দুইটি মাধ্যম রয়েছে জনপ্রিয়। এর মাধ্যম গুলো অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন যে বিদেশ থেকে টাকা বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকে এসেছে কিনা। প্রথমত হচ্ছে টাকা পাঠানোর পর আপনাকে অবশ্যই নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংকে যেতে হবে এবং সেখানে খোঁজ করতে হবে অ্যাকাউন্ট নাম্বার দিয়ে।
তাহলে তারা চেক করে বলে দেবে টাকা এসেছে কিনা এবং কোন ধরনের সমস্যা থাকলে তাও বলে দেবে ইসলামী ব্যাংক থেকে। আর আপনার যদি মোবাইল ফোনে সেলফিন অ্যাপ্লিকেশনটি থাকে তাহলে আপনি সেই অ্যাপসের মাধ্যমে টাকা এসেছে কিনা চেক করতে পারবেন। আর আপনার যদি ব্যাংকের একাউন্টের সাথে সেলফিন একাউন্টটি যুক্ত না থাকে তাহলে অবশ্যই ইসলামী ব্যাংকে গিয়ে আপনার একাউন্টটি অ্যাপসের সাথে সংযুক্ত করে নেবেন।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো - সৌদি আরবের ফ্রি ভিসার দাম কত
যার মাধ্যমে সকল তথ্য অ্যাপস থেকে পেয়ে যাবেন। পরবর্তীতে যদি আপনি বিদেশ থেকে আসা সেই টাকার রেমিটেন্স তুলতে যান তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে সবথেকে অন্যতম হচ্ছে রেমিটেন্সের পিন নাম্বার ও মোবাইল নম্বর জানতে চাইতে পারে। আপনার যদি রেমিটেন্সের পিন জানা না থাকে তাহলে বিদেশ থেকে যিনি আপনাকে টাকা পাঠিয়েছে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে আপনাকে দিয়ে দিবে।
কেননা বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সময় রেমিটেন্সের পিন দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে যেকোনো দেশ থেকে বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর রেমিটেন্সের হার ২. ৫% রয়েছে। আর যদি এক লক্ষ টাকার বেশি বাংলাদেশে পাঠিয়ে থাকেন তাহলে রেমিটেন্সের হার আরও ২৫০০ টাকা বোনাস দেওয়া হয়ে থাকে। নিশ্চয়ই আপনি এতক্ষণে জানতে পেরেছেন বিদেশ থেকে টাকা পাঠালে কিভাবে গ্রহণ করতে হবে।
ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর কি কি সুবিধা রয়েছে
বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলের প্রথম থেকে জেনে আসতে পারেন। যারা বিদেশ যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য অতি প্রয়োজন আজকের এই আর্টিকেলটি। আপনি যদি যেকোনো দেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই নিয়মগুলো জানতে হবে।
কেননা বর্তমান সময়ে অন্যান্য ব্যাংকের চাইতে ইসলামী ব্যাংক বেশি সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন। বর্তমান সময়ে ইসলামী ব্যাংক হচ্ছে একটি ডিজিটাল অ্যাপস ওয়ালেট। আপনার যাবতীয় সকল তথ্য এবং কত টাকা রয়েছে জানতে পারবেন সেই অ্যাপস এর মাধ্যমে সেটির নাম হচ্ছে সেলফিন। এ একটি আপনি যে কোন মোবাইল ফোনের প্লে স্টোর দিয়ে ইন্সটল করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ইতালিতে কোন কাজের বেতন কত - ইতালির ভিসার দাম কত
এই অ্যাপসটি খোলা অতি সহজ বিশেষ করে আপনার সকল সঠিক তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে খুলতে করা যাই। ইসলামী ব্যাংকের এই অ্যাপস ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা লাভ করতে পারবেন। আপনি চাইলে ইসলামী ব্যাংকের অ্যাপস দিয়ে আপনার বাসার গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিল, পানির বিল যাবতীয় সকল কিছুর বিয়ে দিতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংকের অ্যাপ ব্যবহার করে যদি আপনি যে কোন বিল দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি সেখান থেকে অনেক সুবিধা পাবেন। আজকে আপনি নিশ্চয়ই বিদেশ থেকে এখন সঠিক নিয়মে বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারবেন।
বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠালে সেই টাকা পেতে কত দিন লাগে
বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠালে সেই টাকা বাংলাদেশে আসতে কতদিন লাগে জানার জন্য অনেকেই প্রশ্ন করেছেন। আপনারা অনেকেই টাকা পাঠানোর সময় ভাবেন যে এই টাকা বাংলাদেশে যেতে কত দিন লাগবে। একটি কথা মনে রাখবেন যেকোনো দেশ থেকে টাকা পাঠানোর পর বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকে আসতে ৪-৫ ঘন্টা সময় লাগে। আর যদি বিশেষ করে সার্ভারের কোন সমস্যা থাকে তাহলে আসতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে কারণ বসন্ত।
আর যদি কোন ধরনের সমস্যা না থাকে তাহলে আপনি চার থেকে পাঁচ ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশে টাকা পেয়ে যাবেন। সঠিক নিয়মে টাকা পাঠালে আপনি অতি দ্রুত ইসলামী ব্যাংকে থেকে টাকা তুলতে পারবেন। সঠিক নিয়মে টাকা পাঠানোর জন্য আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ুন যার ফলে আপনি অতি দ্রুত বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারবেন এবং বাংলাদেশ থেকে আপনার আত্মীয় টাকা তুলতে পারবে।
বর্তমান সময় হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ যার ফলে আপনার ব্যাংকের একাউন্টে টাকা আসার সাথে সাথে আপনার মোবাইল ফোনে এসএমএস এ একটি নোটিফিকেশন চলে আসে। সেই এসএমএসের নোটিফিকেশন থেকে আপনি জানতে পারবেন আপনার একাউন্টে টাকা এসেছে কিনা। এখন টাকা এসেছে কিনা জানার জন্য ঘরের বাইরে যেতে হয় না ঘরে বসেই জানা যায় মোবাইলের মাধ্যমে।
বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা ছাড়াই আপনি অতি দ্রুত বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারেন ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। অন্যান্য ব্যাংকের চাইতে অধিক সুবিধা দিয়েছেন ইসলামী ব্যাংক এবং ব্যাংকে টাকা রেট ভালো পাওয়া যায় অন্যান্য ব্যাংকের চাইতে। নিশ্চয়ই আপনি জানতে পেরেছেন বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর পর বাংলাদেশে আসতে কত দিন সময় লাগে বা কয় ঘন্টা সময় লাগে।
কিভাবে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলবো - ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রথমে একটি ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যে কিভাবে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হয় জানেন না। আপনি যদি সঠিকভাবে ইসলামী ব্যাংকের এটি একাউন্ট খুলেন তাহলে যেকোনো সময় আপনি সেই একাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ইসলামী ব্যাংকে অনেক ধরনের অ্যাকাউন্ট রয়েছে যার ফলে একজন বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়ার ভিসার দাম কত টাকা - মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কত
যেহেতু আপনি বিদেশ থেকে টাকা পাঠাবেন তাহলে আপনার জন্য সবথেকে ভালো হবে যদি আপনি একটি সেভিং অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। সব থেকে অন্যতম অ্যাকাউন্ট হচ্ছে সেভিং একাউন্ট। সেভিং একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু সঠিক ডকুমেন্ট দিতে হবে। ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন সেগুলো আপনাকে একসাথে রাখতে হবে এবং সে সকল ডকুমেন্ট ইসলামী ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- আপনার নিজের একটি জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে এবং সেটি হতে হবে বৈধ। আপনার যদি পাসপোর্ট থাকে তাও আপনি ইসলাম ব্যাকে একাউন্ট খুলতে পারবেন। আর আপনার যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে তাহলেও আপনি ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন। এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি দিয়ে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারবেন কিন্তু সেটি বৈধ হতে হবে।
- আপনি যদি একাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনার নতুন করে তোলা ছবি পাসপোর্ট সাইজের হতে হবে এবং সেটি সত্যায়িত হতে হবে। আপনার সত্যায়িত ছবি ইসলামী ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
- আপনি যাকে আপনার পরিবর্তে নমিনি রাখবেন সেই ব্যক্তি জাতীয় পরিচয় পত্র এবং স্টাম সাইজের ছবি প্রয়োজন হবে। নমিনি রাখার জন্য আপনি অবশ্যই জেনে বুঝে রাখবেন।
- ইসলামী ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের থেকে আপনার ছবি সত্যায়িত করে নিতে হবে এবং তাদের সকল নিয়ম কানুন মেনে ইসলামী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে হবে।
- আপনি ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য অবশ্যই আপনাকে ইসলামী ব্যাংকের ফর্মে স্বাক্ষর দিতে হবে এবং সেই স্বাক্ষরটি আপনাকে সবসময় ব্যবহার করতে হবে ইসলামী ব্যাংকের লেনদেনের সময়।
- ইসলামী ব্যাংকে সেভিং একাউন্ট খোলার পর আপনাকে অবশ্যই এক হাজার টাকা সর্বনিম্ন ডিপোজিট করে আপনার একাউন্টে রাখতে হবে। এটি অবশ্য কাউকে দিতে হচ্ছে না নিজের একাউন্টে রাখতে হবে যাতে আপনার একাউন্ট চালু থাকে।
এভাবে খুব সহজে আপনি আপনার ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা যায় যার ফলে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে। সেভিং একাউন্টের জন্য এ সকল কাগজপত্র থাকলেই আপনি একটি সেভিং অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন ইসলামী ব্যাংকে। আপনার অ্যাকাউন্টের সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়ে গেলে আপনার অ্যাকাউন্টটি একটিভ হয়ে যাবে যার ফলে আপনি লেনদেন শুরু করতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংকের এমক্যাশ ব্যবহার করে টাকা পাঠানোর নিয়ম
ইসলামী ব্যাংকের অধিক জনপ্রিয় একটি অ্যাপস এর নাম হচ্ছে এমক্যাশ। আপনি চাইলে ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট খোলার পর আপনি এমক্যাশের মাধ্যমে যেকোনো জায়গায় টাকা পাঠাতে পারবেন। সেলফিন একাউন্ট এর মত হচ্ছে এমক্যাশ একাউন্ট। আপনি এমক্যাশ অ্যাপস এর মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা গ্রহণ করতেও পারবেন। বর্তমানে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন ইসলামী ব্যাংক থেকে এই এমক্যাশ একাউন্টের মাধ্যমে।
এমক্যাশ এর প্রয়োজনীয় তথ্য
- আপনি জিনাকে টাকা পাঠাতে চাচ্ছেন তার নাম প্রয়োজন হবে
- যিনি টাকা গ্রহণ করবেন তার এমক্যাশ একাউন্টের নাম্বার প্রয়োজন হবে।
- যেকোনো সময় আপনি এমক্যাশ ব্যবহার করে টাকা পাঠাতে পারবেন যেকোনো জায়গায়।
- টাকার পরিমান ও ব্যাংকের নাম প্রয়োজন হবে।
আপনি যদি ইসলামী ব্যাংকের অ্যাপস এমক্যাশ ব্যবহার করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপসটি নামাতে হবে বা ইনস্টল করতে হবে। আপনি যদি প্লে স্টোরে Islami Bank mCash এই অ্যাপসটি গুগল থেকে খুব সহজে পেয়ে যাবেন। এটি ইন্সটল করার পর সকল তথ্য দিয়ে চালু করবেন। তারপর আপনি যে কোন জায়গায় টাকা পাঠাতে পারবেন এবং যেকোন সুযোগ সুবিধা লাভ করতে পারবেন ইসলামী ব্যাংকের। বর্তমান সময়ে ইসলামী ব্যাংকের জনপ্রিয় দুটি অ্যাপস এর নাম হচ্ছে M Cash ও Cellfin।
অন্য ব্যাংক বাদ দিয়ে কেন ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন
ইসলামী ব্যাংকে বর্তমানে টাকা পাঠানোর অনেক সুবিধা রয়েছে এবং টাকা রেট ও ভালো পাওয়া যায়। ঝামেলা মুক্ত ভাবে টাকা পাঠানোর জন্য সবথেকে কার্যকরী একটি উপায় হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংকে যেমন একাউন্ট খুলতে কোন ঝামেলা হয় না ঠিক তেমনি টাকা পাঠাতেও কোন ঝামেলা হয় না। আপনি খুব সহজেই বিভিন্ন দেশ থেকে টাকা পাঠাতে পারবেন ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে।
ইসলামী ব্যাংকের যে সকল সুবিধা রয়েছে সে সকল সুবিধা আপনি লাভ করতে সক্ষম হবেন। অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠালে আপনি যে পরিমাণ অর্থ পাবেন একই টাকা ইসলামী ব্যাংকে পাঠালে আপনি অধিক পরিমাণে অর্থ পাবেন। কেননা ইসলামী ব্যাংকে কিছুটা টাকার রেট বেশি যে থাকেন এবং সুযোগ সুবিধা দেন। আর বাংলাদেশের যে কোন জায়গাতে ইসলামী ব্যাংকের শাখা প্রশাখা রয়েছে যার ফলে আপনি খুব দ্রুত ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
বিশেষ করে প্রবাসীর জন্য ইসলামী ব্যাংকের অনেক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে টাকার লেনদেনের জন্য। ইসলামী ব্যাংকে আপনি যেকোনো ধরনের একাউন্ট খুলতে পারবেন কেননা একজন ব্যক্তি ইসলামী ব্যাংকে ভিন্ন ভিন্ন একাউন্ট খুলতে পারেন। ইসলামী ব্যাংকে একাউন্ট এর মধ্যে সবথেকে অন্যতম হচ্ছে সেভিং একাউন্ট যার মাধ্যমে আপনি যখন তখন টাকা লেনদেন করতে পারবেন।
বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য মানুষ সেভিং একাউন্ট খুলেন যাতে সুযোগ-সুবিধা বেশি পান সেজন্য। ইসলামী ব্যাংকের দুইটি অ্যাপস রয়েছে যে দুটি অ্যাপ ব্যবহার করার ফলে আপনি আপনার যাবতীয় সকল তথ্য সেখানে দেখতে পাবেন। ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর পর আপনাকে আবার ব্যাংকে গিয়ে টাকা চেক করতে হবে না আপনি ঘরে বসে চেক করতে পারবেন মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমে। বর্তমান সময় হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির যুগ সেজন্য আপনি ঘরে বসেই আপনার একাউন্টে টাকা আসলে এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পারবেন।
শেষ কথাঃ বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর নিয়ম 2024 সর্বশেষ আপডেট
প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সকল নিয়ম বিস্তারিত জানতে পেরেছেন আর যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করুন। আজকের আর্টিকেলে বিদেশ থেকে কিভাবে টাকা পাঠাতে হয় ও বাংলাদেশের টাকা আসতে কত দিন সময় লাগে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন তা সম্পর্কেও আলোচনা করেছি। ইসলামী ব্যাংকের কোন অ্যাপস গুলো ব্যবহার করে আপনি সুযোগ-সুবিধা বেশি পাবেন এবং লেনদেন করতে পারবেন আজকের আর্টিকেলে বর্ণনা করা হয়েছে। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর জন্য কি রকম সুযোগ-সুবিধা রয়েছে জানতে পেরেছেন এবং আমাদের সাথে এতক্ষণ থাকার জন্য আপনাকে অত্যন্ত ধন্যবাদ।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url