ইউটিউব অ্যাপ ডাউনলোড কিভাবে করব - ইউটিউব চ্যানেলটি কিভাবে খুলবো

ইউটিউব অ্যাপ ডাউনলোড কিভাবে করতে হয় এবং ইউটিউব চ্যানেলটি কিভাবে খুলবো অনেকেই জানেন না। আজকের আমাদের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন ইউটিউব কি, ইউটিউব থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়।

ইউটিউব-অ্যাপ-ডাউনলোড-কিভাবে-করব-ইউটিউব-চ্যানেলটি-কিভাবে-খুলবো

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চাচ্ছেন কিন্তু সঠিক ধারণা না থাকার কারণে ইনকাম করতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। আজকে থেকে আপনি ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

সূচিপত্রঃইউটিউব অ্যাপ ডাউনলোড কিভাবে করব - ইউটিউব চ্যানেলটি কিভাবে খুলবো

ইউটিউব অ্যাপ ডাউনলোড কিভাবে করব 

ইউটিউব অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য আপনার কাছে একটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস থাকতে হবে অবশ্যই। সেই অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ইউটিউব অ্যাপটি ডাউনলোড করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। আপনার ফোনে যদি ইন্টারনেট সংযোগ না থাকে তাহলে আপনি কখনোই ইউটিউব অ্যাপ নামাতে পারবেন না।

আপনার ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ করার পর আপনাকে প্লে স্টোরে যেতে হবে এবং সেখানে লিখতে হবে ইউটিউব। ইউটিউব লেখার পরে সেখানে আসবে ইউটিউব অ্যাপ এবং নিচে লেখা থাকবে ইনস্টল। তখন আপনি ইন্সটল বাটনে ক্লিক করবেন এবং সেটা ইন্সটল হতে থাকবে কিছু সময় লাগতে পারে যদি আপনার ইন্টারনেট সংযোগ ধীর গতি সম্পন্ন হয়।

আর আপনার ইন্টারনেট স্প্রিট যদি ভালো থাকে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ইন্সটল হয়ে যাবে। ইউটিউব ইনস্টল হওয়ার পর সেটা আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ডিসপ্লেতে চলে আসবে। তখন আপনি ইউটিউবের মধ্যে প্রবেশ করবেন এবং আপনার একটি নিজস্ব জিমেইল দিয়ে ইউটিউব টি লগইন করবেন।

কেননা পরবর্তীতে যদি আপনি ইউটিউবটি আনইন্সটল করে দেন বা ইউটিউব টি যদি কেটে যায় তাহলে আপনি আবার ইন্সটল করার পর আপনার জিমেইল দিয়ে লগইন করলে আপনার ইউটিউবে আগে যত যা ছিল সবকিছু চলে আসবে পুনরায়। বর্তমান সময়ে ইউটিউব হচ্ছে একটি জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম যার মাধ্যমে আমরা নানান ধরনের ভিডিও দেখে থাকি এবং ভিডিও আপলোডও করে থাকি।

আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ইউটিউব ইন্সটল করার জন্য আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি হতে হবে 6.0 ভার্সন। আপনার ফোনটি যদি 9.0 ভার্সনের নিচে হয় তাহলে কখনোই ইউটিউব ইন্সটল করতে পারবেন না সেই অ্যান্ড্রয়েড ফোনে। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি অবশ্যই জানতে পেরেছেন কিভাবে এন্ড্রয়েড ফোনে ইউটিউব ইন্সটল করতে হয়। 

ইউটিউব কি 

ইউটিউব অ্যাপটি হল অফিসিয়াল একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। ইউটিউব এর মাধ্যমে আমরা ভিডিও দেখতে পারি, আমাদের পছন্দের চ্যালেঞ্জগুলোকে সাবস্ক্রাইব করতে পারি, আমাদের নিজস্ব কনটেন্ট আপলোড করতে পারি ইউটিউবে, বন্ধু-বান্ধবের সাথে সাথে ভিডিও শেয়ার করতে পারি ইত্যাদি। বর্তমানে ইউটিউব অ্যাপটি হচ্ছে বিশ্বের মধ্যে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম।

ইউটিউব মিউজিক ভিডিও, ফ্যাশন, সৌন্দর্য, শিক্ষা, সংবাদ ইত্যাদি দেখার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম। আপনি আপনার যেকোনো ডিভাইসে ইউটিউব অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন এবং সেখান থেকে জানতে পারেন বিশ্বের সকল তথ্য ও দেখতেও পারেন বসে থেকে। ইউটিউব অ্যাপটি আপনি বিভিন্ন ডিভাইসে কানেক্ট করতে পারবেন যেমন আপনার স্মার্টফোনে, আপনার স্মার্ট টিভিতে, মিডিয়া সিস্টেমিং ডিভাইসে ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ মাসে ২৫ হাজার টাকা আয় করার কার্যকরী উপায়

ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনি যে কোন পোস্ট করতে পারবেন এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটিং করে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। আপনি আপনার নিজের এন্ড্রয়েড ফোন থেকে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে সেই ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ইনকাম করার জনপ্রিয় মাধ্যমের মধ্যে একটি হচ্ছে এই ইউটিউব।

ইউটিউব অ্যাপটি ব্যবহার করার আরেকটি সুবিধা হচ্ছে আপনি যে কোন সময় এটি ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি যদি কোন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করেন তারপরও এই ইউটিউব ব্যবহার করতে পারবেন এবং স্কিন লক হয়ে থাকলেও ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পারবেন। এ সবকিছুর জন্য আপনাকে অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ রাখতে হবে আপনার স্মার্টফোনে।

ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে আপনি কখনোই ইউটিউব অ্যাপটির ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং কোন ধরনের কোন কিছু দেখতে পাবেন না। আপনি যদি ইউটিউব থেকে কোন কিছু ডাউনলোড করে রাখেন তাহলে পরবর্তী যেকোনো সময় আপনি ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই সেই ভিডিও গুলো দেখতে পারবেন।

বর্তমান সময় জনপ্রিয় মাধ্যমের মধ্যে একটি হচ্ছে ইউটিউব। ইউটিউব অ্যাপ ডাউনলোড কিভাবে করতে হয় আপনি ইতিমধ্যেই জেনে ফেলেছেন এবং আরো জানতে পেরেছেন ইউটিউব কি, ইউটিউবে কি কি রয়েছে ইত্যাদি।

ইউটিউব চ্যানেলটি কিভাবে খুলবো 

ইউটিউব চ্যালেঞ্জ খোলার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়মকানুন মেনে খুলতে হবে। বর্তমানে অনেকেই ইউটিউব চ্যালেঞ্জ খুলছেন এবং ইনকাম করছেন। ইনকাম করার জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে ইউটিউব এর নিয়ম অনুযায়ী।

আপনি যদি আপনার ইচ্ছামত ইউটিউব চ্যানেল খুলেন তাহলে কখনোই ইনকাম করতে পারবেন না যদি ইউটিউব এর নিয়ম ফলো না করেন। ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য যে ধাপগুলো আপনার অবলম্বন করতে হবে।

গুগল একাউন্ট তৈরি করতে হবেঃ সর্বপ্রথম আপনাকে একটি গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং সকল নিয়মকানুন মেনে। আপনার গুগল একাউন্টটি হতে হবে ফেস এবং গুগল একাউন্টে কোন রিপোর্ট থাকা যাবে না। 

ইউটিউব লগইন করতে হবেঃ গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর আপনাকে একটি ইউটিউব লগইন করতে হবে। ইউটিউব কি হবে আপনার নিজের একান্ত যার মাধ্যমে আপনি নিজের ইচ্ছামত কনটেন্ট আপলোড করতে পারবেন। আপনার ইউটিউব এর উপরে ডান দিকে ক্লিক করে আপনার প্রোফাইলটি কমপ্লিট করতে হবে।

ইউটিউব-চ্যানেলটি-কিভাবে-খুলবো

একটি নতুন চ্যানেল তৈরি করুনঃ ইউটিউবে একটি নতুন চ্যানেল তৈরি করার জন্য আপনাকে ইউটিউবে সেটিং বাটনে চলে যেতে হবে এবং সেখান থেকে আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে। ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার জন্য আপনার সকল সঠিক তথ্য দিয়ে কমপ্লিট করবেন কখনোই ভুল তথ্য দিবেন না। 

 ইউটিউব  চ্যানেলের নামঃ ইউটিউব চালানোর জন্য আপনাকে একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করতে হবে। সুন্দর নাম নির্বাচন করার পরে ইউটিউব চ্যানেল টির নাম সেটি দিবেন যা সকলের কাছে প্রাধান্য পাবে। কখনোই উল্টাপাল্টা কোন ইউটিউব চ্যানেলের নাম দিবেন না। 

প্রোফাইল ছবি ও ব্যানার আপলোডঃ আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য অবশ্যই একটি প্রোফাইলে ভালো ফটো আপলোড করবেন এবং একটি ভাল ব্যানার আপলোড করবেন। যাতে মানুষের কাছে সৌন্দর্যপূর্ণ হয় এবং মানুষকে আকৃষ্ট করে।

ইউটিউব চ্যানেলের বিবরণঃ আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য অবশ্যই কিছু বিবরণ লিখতে হবে। বিবরণটি এমন হবে যে যোগাযোগের তথ্য থাকবে এবং সামাজিক মাধ্যমে লিংক থাকবে অবশ্যই। আপনার কাছে যা প্রয়োজনীয় মনে হবে তা ইউটিউব চ্যানেলের বিবরণে দিয়ে রাখতে পারেন।

ইউটিউব সুটডিওঃ ইউটিউবে সুটডিও বেটা থেকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সেটিং, ফিচার, মনিটাইজেশন অপশন কাস্টমাইজ করতে হবে। এখানে সব সময় আপনি ধীরে সুস্থে কাজ করবেন কখনোই কোনো কিছু ভুল করবেন না। অনেক সময় ভুলের কারণে মনিটাইজেশন পাওয়া যায় না।

ভিডিও আপলোড করুনঃ ইউটিউব এ প্রথম ভিডিও আপলোড করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়মকানুন মানতে হবে। ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং ভিডিওর একটি শিরোনাম, ট্যাগ, বিবারণ এবং অবশ্যই থাম্ননেল যোগ করতে হবে।

ইউটিউব চ্যানেল প্রচারঃ আপনাকে অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেল প্রচার করতে হবে। প্রচার করার জন্য আপনার ইউটিউবের ভিডিও গুলো সামাজিক মাধ্যমে ছাড়তে হবে যাতে করে দর্শকের কাছে পৌঁছায় এবং লাইক, কমেন্ট, শেয়ার ও সাবস্ক্রাইব হয়। আপনার বন্ধু-বান্ধবের কাছে প্রচার করতে হবে এবং তাদের কে বলতে হবে সাবস্ক্রাইব করার জন্য।

এই কয়েকটি নিয়ম অবলম্বন করে আপনি ইউটিউব চ্যানেল খুললে এবং নিয়মিত ভিডিও আপলোড করলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ইনকাম শুরু করতে পারবেন। ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য এ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করাই যথেষ্ট।

ইউটিউব চ্যানেলে কি করনীয় রয়েছে 

ইউটিউব অ্যাপ ডাউনলোড করা ও ইউটিউব চ্যালেঞ্জ টি খোলা সম্পর্কে আপনার অবশ্যই জেনেছেন। এখন ইউটিউব চ্যানেলে কি করনীয় রয়েছে জানতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেল থেকে। ইউটিউব চ্যানেলে যাতে সব সময় ভালো ইনকাম করা যায় সেজন্য কিছু নিয়ম মানা আবশ্যক।

ইউটিউব চ্যানেলের সেটিংঃ অবশ্যই আপনাকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সেটিং টি ভালোভাবে ও সঠিকভাবে কনফিগার করতে হবে। যাতে করে আপনার সেটিংটি এ অ্যাডভান্স হয়। আপনাকে অবশ্যই চ্যানেলের যাবতীয় সকল সেটিং কমপ্লিট করতে হবে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কমিউনিটি সেটিং। ইউটিউব চ্যানেলের জন্য যখন আপনি সেটিং স কমপ্লিট করবেন তখন সবসময় ধীরে শুতে কমপ্লিট করার চেষ্টা করবেন কোন কিছু ভুল করবেন না। 

ইউটিউব চ্যানেল তৈরিঃ ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার জন্য আপনাকে গুগল একাউন্ট দিয়ে সাইন আপ করতে হবে। আপনি খুব অল্প সময়ে গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেল  খোলা কমপ্লিট করতে পারেন বা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন।

ভেরিফিকেশনঃ আপনার ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আপনার ইউটিউব চ্যালেঞ্জ ভেরিফিকেশন না করেন তাহলে কখনোই আপনার চ্যানেলটি বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারবে না এবং আপনি ইনকাম করতে পারবেন না কখনো। সেজন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফিকেশন করে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে হবে। 

কনটেন্ট তৈরিঃ আপনার ইউটিউবে অবশ্যই এমন কনটেন্ট রাখবেন বা তৈরি করবেন যাতে করে মানসম্মত এবং আকর্ষণীয় হয়। দর্শকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে এমন কনটেন্ট তৈরি করবেন তাহলে খুব অল্প সময়ে আপনি ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন। 

এসইওঃ ইউটিউবে চ্যানেল র‍্যাঙ্ক করার  জন্য আপনাকে অবশ্যই এসইও করতে হবে। আপনার ভিডিও শিরোনাম, ট্যাগ, বিবরণ গুলোকে সবসময় এসইও রিলেটেড রাখতে হবে। যাতে করে আপনার ইউটিউব চ্যানেল সার্চ ইঞ্জিনে ভালো রাঙ্কে  থাকতে পারে।

সর্বশেষ প্রচারঃ আপনার ইউটিউব চ্যানেল বেশি বেশি প্রচার করতে হবে যাতে করে আপনার কনটেন্ট বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। সব জায়গাতেই আপনার ইউটিউব চ্যালেঞ্জ প্রচার করবেন এবং লাইক, শেয়ার, কমেন্ট ও সাবস্ক্রাইব করতে বলবেন।

এ সকল ধাপগুলো অনুসরণ করলেই আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভালো সাবস্ক্রাইবার পাবেন এবং সকল ভাবে গড়ে তুলতে পারবেন ইউটিউব চ্যানেলকে।

ইউটিউবে কত সাবস্ক্রাইব কত টাকা 

ইউটিউব অ্যাপ ডাউনলোড করার নিয়ম এবং ইউটিউব চ্যালেঞ্জ খোলার নিয়ম ইতিমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেলে। ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবের সংখ্যা অনুযায়ী কখনোই সরাসরি টাকা প্রদান করা হয় না। ইউটিউবে আয় এর পরিমাণ বিভিন্ন ফ্যাক্টর এর ওপর নির্ভর করে থাকে। কেননা এগুলো সব নির্ভর করে ভিউয়ের সংখ্যা, বিজ্ঞাপনের কোন ধরন রয়েছে,

দর্শকদের অবস্থান এবং ভিডিওর কোয়ালিটির ওপর। সাধারণভাবে ইউটিউব অর্থ প্রদানের জন্য প্রতি এক হাজার ভিউতে প্রায় ১.৩৬ ডলার থেকে শুরু করে ৩.৪০ ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকেন। আপনি যদি ইউটিউব থেকে আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই মনে রাখবেন সাবস্ক্রাইব এর সংখ্যা বাড়ানো গুরুত্বপূর্ণ।

ইউটিউবে-কত-সাবস্ক্রাইব-কত-টাকা

সাবস্ক্রাইবের সংখ্যা  গুরুত্বপূর্ণ হলেও ভিউ এর সংখ্যা এবং ভিডিওর মান অধিক গুরুত্বপূর্ণ ইনকামের জন্য। সেজন্য আপনাকে সবসময় উন্নত মানের কনটেন্ট ও সঠিক বিজ্ঞাপন প্রোভাইড করতে হবে আপনার চ্যানেলে, যাতে করে আপনি খুব অল্প সময়ে অধিক পরিমাণে ইনকাম করতে পারেন। আপনি এমন কনটেন্ট ক্রিয়েট করবেন যাতে মানুষের কাছে ভালো লাগে।

আপনার কনটেন্টটি মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারে। ইউটিউব কত সাবস্ক্রাইব এ কত টাকা দেই তা সব সময় নির্ভর করে ইউটিউব এর সর্বশেষ আপডেটের ওপর কেননা মাঝেমধ্যেই আপডেট পরিবর্তন হয়ে থাকে। আপনি সেজন্য ইউটিউব এর আপডেট দেখে কাজ করবেন। বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করার মধ্যে একটি বহুল প্রচলিত মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। 

ইউটিউব থেকে আয় করার সেরা ৩টি উপায়  

ইউটিউব অ্যাপ ডাউনলোড করা কতটা সহজ আপনি অবশ্যই জানতে পেরেছেন এবং আরও জানতে পারবেন ইউটিউব থেকে আয় করার অনেক উপায় রয়েছে এর মধ্যে সবথেকে সেরা তিনটি উপায় সম্পর্কে আজকে এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।

আরো পড়ুনঃ প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন

আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন সেরা তিনটি উপায়ে আপনি কিভাবে ইউটিউব থেকে খুব অল্প সময়ে ইনকাম শুরু করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে অনেকেই ইউটিউব এর ইনকাম শুনেছেন এবং দেখেছেন কিন্তু আপনি কখনো ইনকাম করতে পারেন নাই চলুন আজকে ইনকাম করার সিস্টেম জেনে আসা যাক। 

ইউটিউব এর বিজ্ঞাপন থেকে আয় 

ইনকামের একটি প্রাথমিক উপায় হচ্ছে ইউটিউবের বিজ্ঞাপন থেকে আয় করা। ইতিমধ্যে আপনারা হয়তো খেয়াল করেছেন আপনি যখন ইউটিউবে কোন ভিডিও দেখেন তখন এমনিতেই ভিডিওর মধ্যে যেকোনো ধরনের অ্যাড চলে আসে এবং সেই আপনাকে দেখতে হয়। ইউটিউবাররা এই অ্যাড থেকে ইনকাম করে থাকে যে আপনি দেখলেন।

অ্যাড কোন নির্ধারিত সময় নেই কোন সময় ভিডিও শুরু হওয়ার পূর্বেই আর চলে আসে আবার কখনো ভিডিওর মাঝে আর চলে আসে বা ভিডিওর শেষে আছে। প্রত্যেকটি বিজ্ঞাপন থেকে কি পরিমান আয় হবে এই ব্যাপারটি গুগল নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেন। কখনোই কোন ইউটিউবাররা জানতে পারেন না যে বিজ্ঞাপনটি থেকে কত পরিমাণ আয় হয়েছে।

কেননা একাদ ভিডিও থেকে একাদ পরিমাণে আয় হয়ে থাকে। গুগলে ইউটিউব থেকে যে কত ডলার ইনকাম করা হয় কোন কিছুই উল্লেখ্য করা হয় না। তবে কিছু প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায় এক হাজার ভিউতে প্রায় ৩ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত আয় হয়ে থাকে। ইউটিউবে যদি আপনি একটা ভিডিও আপলোড করেন সেটা যদি প্রতিনিয়ত চলতে থাকে তাহলে আপনি প্রতি মাসেই ইনকাম করতে থাকবেন সেই ভিডিওটা থেকে।

ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলে অবশ্যই সঠিক নিয়মে ভিডিও আপলোড করতে হবে। আপনার ইউটিউব চ্যানেলে বিগত এক বছরে ভিডিওগুলোতে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে এবং আরো থাকতে হবে আপনার চ্যানেলের ১০০০ সাবস্ক্রাইবার। এ সকল কিছুই যদি আপনার ঠিক থাকে তবেই আপনি ইউটিউব চ্যালেঞ্জ থেকে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

যাবতীয় পণ্য বিক্রি করে আয় 

আপনি নিজের পণ্য বিক্রি করেও আয় করতে পারবেন খুব সহজে ইউটিউব থেকে। ইউটিউবে অধিক পরিমাণে সাবস্ক্রাইবার থাকার ফলে আপনি যদি কোন বিজ্ঞাপন ছাড়েন আপনার দোকানের পা যেকোন কিছুর তাহলে অনেক মানুষ তা দেখতে পাবে এবং আপনি সেখানেই সেগুলো বিক্রি করতে পারবেন।

আপনি যদি কারো কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চান তাহলে আপনার এই ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করতে পারেন যার ফলে অনেক সংখ্যক মানুষ পাবেন প্রচার করার জন্য। এবং সেখানে আপনি নাম্বার লোকেশন দিয়ে রাখতে পারেন এখান থেকে খুব অল্প সময়ে অধিক পরিমাণ ইনকাম করতে সক্ষম হবে।

আপনি ইউটিউবে কনটেন্ট এর সাথে সাথে আপনি যে কোন স্পন্সর হিসাবে কাজ করে যেতে পারেন যা বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় একটি ইনকামের মাধ্যম। অনেকেই রয়েছে ইউটিউবার যারা যাবতীয় পণ্য বিক্রি করে এবং ইউটিউবে কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে ইনকাম করে থাকেন অধিক পরিমাণে।

অ্যাফিলিয়েট ইনকাম 

বর্তমান সময়ে ইউটিউবাররা অনেক ক্রিয়েটিভ উপায়ে ইনকাম করার চেষ্টা করছেন এর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট। আপনি যে কোন কোম্পানির সাথে চুক্তিতে তাদের পণ্য আপনার ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন লিংকিং করে। যে কোন ভিডিও মাধ্যমে আপনি সেই পন্য নাম করবেন বা সে পণ্যটি দেখাবেন।

সেই পণ্যটি কেনার জন্য আপনার ফলোয়ারকে উৎসাহিত করবেন এবং আপনার কমেন্ট বক্সে সেই কোম্পানির লিংক দিয়ে রাখবেন। আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নিচে যে লিংক দিয়ে রাখবেন সেটি অবশ্যই যে কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ আছে সে কোম্পানির দিয়ে রাখবেন তাহলে তারা সেখান থেকে কোন প্রোডাক্ট বা জিনিস কিনলে আপনি কমিশন পাবেন।

ইনকাম করার অন্যতম উপায় হচ্ছে ক্রিয়েটিভ হিসাবে ইনকাম করা। এভাবে আপনি অনেক উপায় ইনকাম করতে পারেন আপনার বুদ্ধি খাটিয়ে যেমন বিজ্ঞাপন দেখিয়ে কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইফতারি। 

ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় 

ভিডিও না বানিয়ে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় অনেক রয়েছে এর মধ্যে কিছু উপায় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। যা থেকে আপনি জানতে পারবেন আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও বানাতে না পারেন তাহলে অন্য কোন উপায় গুলো থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে দেরি না করে এই আর্টিকেলটি পুরোটা একবার শেষ পর্যন্ত করে ফেলুন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ আপনি যদি ইউটিউবে ভিডিও না বানিয়ে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন যার ফলে আপনাকে ভিডিও বানাতে হবে না। আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট এর লিংক শেয়ার করতে পারেন যার ফলে আপনার ফলোয়াররা সেখান থেকে যেকোন প্রোডাক্ট কিনবে।

আপনার ফলোয়ারা সেই লিংক এর মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট কিনলে সেখান থেকে আপনি কমিশন পাবেন যা কি বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বর্তমান সময়ে অনলাইনে ইনকাম করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যা আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমে করতে পারবেন।

স্পনসরশিপঃ যেহেতু আপনার ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি স্পনসরশিপ করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যে কোন ব্যান্ডের সাথে পার্টনারশিপ করে তাদের প্রোডাক্ট ও সার্ভিস আপনার ইউটিউব চ্যানেলে প্রমোট করতে পারেন যার ফলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ইউটিউব চ্যানেল প্রমোট করবেন।

তাদের সকল তথ্য প্রচার করবেন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ফলোয়ারের সাথে। আপনার ইউটিউব চ্যানেল যদি একটি বিশ্বস্ত চ্যানেল হয়ে থাকে তাহলে খুব অল্প সময় আপনি অধিক পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন এই স্পনসরশিপ থেকে। বর্তমান সময়ে অধিক প্রচলিত ইনকাম মাধ্যম এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্পনসরশিপ।

ইউটিউব চ্যানেল ম্যানেজমেন্টঃ আপনি যদি ইউটিউব সম্বন্ধে ধারণা লাভ করতে পারেন তাহলে আপনি অন্য চ্যানেল এর সমস্যা সমাধান করে ইনকাম করতে পারবেন। অনেকে রয়েছে ইউটিউব নতুন খুলে এবং চ্যালেঞ্জ তৈরি করে যা পরবর্তীতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয় কেননা তিনি ইউটিউব সম্বন্ধে ধারণা লাভ করেননি এখনো।

বর্তমান সময় অনেকে রয়েছে যারা শুধু ইউটিউবের নানান সমস্যা সমাধান করে ইনকাম করে থাকেন। অনেকে রয়েছেন যারা ইউটিউবে মনিটাইজেশন অন করতে পারেন না এবং অনেকে রয়েছে ইউটিউবে চ্যানেল খুলতে পারেন না এবং অনেকে রয়েছে ইউটিউব এর সেটিং এর সমস্যার জন্য ভিডিও রিচ হয় না তাদের এই সকল সমস্যা সমাধান করে আপনি ইনকাম করতে পারেন।

অনেকে জানেনা কিভাবে ইউটিউব এ ফলোয়ার বাড়ানো যায় তাদেরকে আপনি সাহায্য করতে পারেন করতে পারেন এবং নতুন ইউটিউব চ্যানেল খুলে দিতে পারেন। আপনার যদি ইউটিউব সম্বন্ধে ভালো ধারণা হয়ে থাকে তাহলে আপনি খুব অল্প সময় ইউটিউব থেকে ভাল ইনকাম করতে সক্ষম হবেন ভিডিও না বানিয়ে।

ইউটিউব এসইও সার্ভিস প্রদানঃ আপনি যদি ইউটিউব এসইও সার্ভিস প্রদানে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অন্য ইউটিউব চ্যানেলে এসইও করে দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ইউটিউব ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক যারা ইনকাম করতে চান। এদের মধ্যে অনেকেই জানেন না কিভাবে ইউটিউব র‍্যাঙ্কে রাখাতে হয় এবং এবং অনেকে জানেন কিন্তু করতে পারেন না।

আপনি এই সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে অধিক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব এসইও সার্ভিস প্রধান। দিন দিন বহু মানুষ ইনকামের জন্য  ইউটিউব খুলছেন কিন্তু এসইও করতে পারছেন না আপনি তাদেরকে এসইও করে দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি ইউটিউবের বিষয়ে ধারণা লাভ করতে পারেন।

আপনি সেটাকে কাজে লাগান তাহলে আপনার ইনকাম নিয়ে আর ভাবতে হবে না। বর্তমান সময়ে ইনকামের অন্যতম মাধ্যম বলতে গেলে ইউটিউব অন্যতম যা থেকে প্রতিনিয়ত মানুষ ইনকাম করছেন। কেউ কেউ কনটেন্ট ক্রিয়েট করছেন আবার কেউ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করছেন আবার কেউ সার্ভিস দিয়ে থাকছেন নানান ভাবে মানুষ ইনকাম করে থাকছেন ইউটিউব থেকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url