বাংলাদেশের কোন ব্যাংকগুলো প্রবাসী লোন দিয়ে থাকেন দেখুন
বাংলাদেশের কোন ব্যাংকগুলো প্রবাসী লোন দিয়ে থাকেন জানার জন্য নিশ্চয়ই আজকের এয়ারটেল পোস্ট করেছেন, তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব যে সকল বিষয়গুলো নিয়ে দেখুন।
বাংলাদেশের যে সকল ব্যাংকগুলো প্রবাসী কল্যাণ লোন দিয়ে থাকেন, প্রবাসী লোন কারা পাবেন, প্রবাসী লোন পাওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন, প্রবাসী লোন কত টাকা পাওয়া যাবে, প্রবাসী লোন পরিষদের নিয়ম গুলো এবং পরিষদের মেয়াদ কত জানতে পারবেন।
সূচিপত্রঃবাংলাদেশের কোন ব্যাংকগুলো প্রবাসী লোন দিয়ে থাকেন দেখুন
বাংলাদেশের কোন ব্যাংকগুলো প্রবাসী লোন দিয়ে থাকেন দেখুন
বাংলাদেশের কোন ব্যাংকগুলো প্রবাসী লোন দিয়ে থাকেন জানার জন্য আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কেননা আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করো বাংলাদেশের যে সকল ব্যাংক প্রবাসী লোন দিয়ে থাকেন। বর্তমানে বাংলাদেশের যে সকল ব্যাংকগুলো রয়েছে এর মধ্যে সবথেকে কার্যকরী ব্যাংক হচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক যা যা বিদেশ যাওয়ার জন্য লোন দিয়ে থাকেন।
আরো পড়ুনঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে চাকরির সুবিধা কি - প্রবাসী কল্যাণ কার্ডের সুযোগ সুবিধা
বিদেশ যাওয়ার জন্য লোন দেওয়ার জন্য ২০১১ সালে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক স্থাপিত করা হয়। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের পাশাপাশি আরো কিছু ব্যাংক রয়েছে যারা লোন দিয়ে থাকেন যেমন সোনালী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ইত্যাদি। বাংলাদেশের অনেকে রয়েছেন যারা বিদেশ যাওয়ার জন্য লোন নেওয়ার বিষয়ে ভাবছেন কিন্তু কিভাবে নিবেন এবং কোথা থেকে নিবেন জানেন না। তাদের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী একটি ব্যাংক হচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।
যারা বাংলাদেশ থেকে টাকা অভাবে বিদেশ যেতে পারছেন না তাদের জন্য একটি কার্যকরী ব্যাংক হচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। বর্তমান সময়ে অর্থ উপার্জনের জন্য প্রায় সকলেই বিদায় দিতে চাচ্ছেন কিন্তু টাকার জন্য যেতে পারছেন না তাদের জন্য কিছু ব্যাংক রয়েছে যেগুলো লোন দিয়ে থাকে। যেখান থেকে লোন নিয়ে খুব অল্প সময়ে বিদেশ যাওয়া যায়। বিদেশ যাওয়ার জন্য কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই আপনি খুব সহজেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন এবং নেয়ার নিয়ম নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
লোন কারা নিতে পারবেন দেখুন
বাংলাদেশের কোন ব্যাংকগুলো প্রবাসী কল্যাণ লোন দিয়ে থাকেন ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেলের প্রথম থেকে জেনে আসতে পারেন। কেননা আপনি যদি বিদেশে যেতে চান এবং আপনার টাকা না থাকে তাহলে আপনি এই ব্যাংকগুলো থেকে লোন নিয়ে খুব অল্প সময় বিদেশ যেতে পারবেন। বিদেশ যাওয়ার জন্য যারা ইতিমধ্যে ভিসা পেয়েছে শুধুমাত্র তারাই এ লোন গুলো নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ বিদেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকে যেকোনো সময় টাকা পাঠানোর নিয়ম 2024
ভিসা পাওয়ার পর যদি আপনি ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনি খুব অল্প সময়ে লোন পেয়ে যাবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকারী ব্যাংক হচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক যা দ্রুত আপনাকে লোন সরবরাহ করে থাকে। বিদেশে যাওয়ার জন্য লোন নিতে আপনাকে অবশ্যই আপনার ভিসাটি বৈধ হতে হবে কেননা আপনার ভিসা যদি অবৈধ হয়ে থাকে তাহলে আপনি ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করলে ধরা পড়ে যাবেন এবং আপনার বিভিন্ন ধরনের শাস্তি হতে পারে।
আপনি কত টাকা লোন নিতে চাচ্ছেন তা সব সময় নির্ভর করবে আপনার ভিসার মেয়াদের উপর। অবশ্যই ভিসা পাওয়ার পর আপনি লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং একই কথা মনে রাখবেন কখনোই কোন ব্যাংক কিন্তু আপনাকে ভিসা পাইয়ে দিতে সাহায্য করবে না। আপনাকে ভিসা পেতে হবে যা হতে হবে বৈধ তারপরেই আপনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সহ বিভিন্ন ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বাংলাদেশের মধ্যে বিদেশে যাওয়ার জন্য লোন নিতে চাইলে আপনি খুব সহজেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন। সব থেকে বেশি সুযোগ সুবিধা ও লোনের পরিমাণ বেশি এবং মেয়াদ বেশি দেওয়া হয়ে থাকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে। আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি নিশ্চয়ই জানতে পারেছেন বিদেশ যাওয়ার জন্য কারা লোন পাবে ব্যাংক থেকে।
প্রবাসী লোন পাওয়ার জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন দেখুন
বাংলাদেশের কোন ব্যাংকগুলো প্রবাসী লোন দিয়ে থাকেন ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। প্রবাসী লোন পাওয়ার জন্য যে সকল কাগজ পাত্রী না হলে আপনি কখনোই লোন নিতে পারবেন না সেগুলো সম্পর্কে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব আজকে। কেননা অনেকেই লোন নিতে চান কিন্তু লোন নেওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন জানেন না। প্রবাসী লোন পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু কাগজ পাতি রয়েছে যা এখন আপনি জানতে পারবেন।
- একটি বৈধ ভিসার ফটোকপি লাগবে।
- আপনার তিন কপি সত্যায়িত ছবি লাগবে।
- আপনার গ্রাম অনুযায়ী পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের সনদপত্র লাগবে।
- আপনার একটি বৈধ জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি লাগবে।
- আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট এর ফটোকপি লাগবে।
- আপনার পরিচিত এক ব্যক্তির জামিননামা লাগবে ব্যক্তিগত।
- জামিননামা যাকে করবেন তার বৈধ এনআইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
- পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের সনদপত্র লাগবে জামিননামা ব্যক্তির।
- যদি পাসপোর্ট থাকে তাহলে পাসপোর্ট এর ফটোকপি লাগবে জামিননামা ব্যক্তির।
এ সকল কাগজপত্রের মাধ্যমে আপনি প্রবাসী লোন সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনি আমাকে মনে রাখবেন আপনি জিনাকে জামিন নামা বানিয়েছেন তার যাবতীয় সম্পত্তির উপর নির্ভর করে আপনাকে লোন দেওয়া হচ্ছে। আপনি মনে করতে পারেন যে তার সেই সম্পত্তির বিকল্প হিসেবে আপনাকে লোন দেওয়া হচ্ছে।
প্রবাসী লোন কত টাকা পাওয়া যায় দেখুন
বাংলাদেশের কোন ব্যাংকগুলো প্রবাসী লোন দিয়ে থাকেন এর মধ্যে আরেকটি কার্যকারী বিষয় হচ্ছে প্রবাসী লোন কত টাকা পাওয়া যায়। বর্তমান সময়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য আপনি যদি সরকারি ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে প্রায় ১ থেকে দুই ২ টাকা প্রবাসী লোন পাবেন। সোনা বাংলাদেশের সরকারি ব্যাংকগুলোতে বিদেশে যাওয়ার জন্য লোন দেওয়া হয়ে থাকে সাধারণত ২৪ মাস মেহেদী এর থেকে ২ লক্ষ টাকা।
আরো পড়ুনঃ বিদেশ থেকে অগ্রণী ব্যাংকে টাকা পাঠানোর সহজ উপায় দেখে নিন
২৪ মাসের সাথে সাথে আরো ২ মাস পাবেন এক্সট্রা যাকে বলা হয়ে থাকে গ্রেট পিরিয়ড। সবমিলিয়ে মোট আপনি ২৬ মাস এর জন্য সরকারি ব্যাংকগুলো থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন ৯ শতাংশ সুদে। আর আপনি যদি বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য লোন নিতে চান তাহলে আপনি প্রায় ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা লোন পাবেন।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে লোন পরিষদের মেয়াদ হচ্ছে প্রায় ১ বছর থেকে শুরু করে ৩ বছরের মধ্যে। কিন্তু এই ব্যাংকগুলোতে সুদের হার বেশি যা প্রায় ১২ থেকে ১৪ শতাংশ হয়ে থাকে। বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে যদি আপনি লোন নিয়ে বিদেশে যান তাহলে আপনাকে বিদেশ যাওয়ার তিন মাস পর থেকে প্রতি মাসে কিস্তিতে লোন নেওয়া শুরু করবে। আর এই নিয়মগুলো সরকারি এবং বেসরকারি সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে একই রকম কার্যকারী।
সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের লোনের যে সকল শর্ত রয়েছে এবং অনুমোদন প্রক্রিয়া রয়েছে সবকিছুই একই রকম। এর মধ্যে কিছু কিছু রাষ্ট্র রয়েছে যেগুলোতে লোন পরিষদের জন্য কিছু নিয়ম নীতিমালা রয়েছে যেমন সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে লোন পরিশোধের মেয়াদ হচ্ছে ১ বছর। আর সৌদি আরব, কাতার, ওমান, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, বাহরাইন সহ বেশ কিছু রাষ্ট্রের জন্য লোন পরিষদের মেয়াদ হচ্ছে প্রায় দুই বছর।
প্রবাসী লোনের মেয়াদ এবং লোন পরিশোধের নিয়ম দেখুন
বাংলাদেশের কোন ব্যাংকগুলো প্রবাসী লোন দেয়া থাকেন এ সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন এখন আপনি জানতে পারবেন লোনের মেয়াদ এবং পরিষদের নিয়ম সম্পর্কে। কিছু কিছু ব্যাংকের ক্ষেত্রে লোন পরিষদের নিয়ম কিছুটা কম বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংকের প্রবাসী লোন নেওয়ার পর পরিশোধ করার জন্য সময় হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩ বছর।
লোন পরিষদের জন্য কিস্তি নির্ধারণ করা রয়েছে যা ২ বছরে প্রায় ২৪ টি কিস্তি এবং ৩ বছরে ৩৬ টি কিস্তি নিয়মিত পরিশোধ করতে হবে। আপনি বেতন পাওয়ার সাথে সাথে প্রতি মাসে ১ করে সোনালী ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আর পূবালী ব্যাংকের লোন প্রায় ২.৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে আপনাকে দুই বছরের মধ্যে।
আবার এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক সহ বিভিন্ন ব্যাংকগুলোতে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়ে থাকে এবং পরিশোধ করতে হয় কিস্তি হিসেবে যেমন ১২,২৪,৩৬ কিস্তিতে। প্রতিমাসে কিস্তির মাধ্যমে এই ব্যাংকগুলোতে লোনের টাকা পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু অগ্রণী ব্যাংকের লোন পরিশোধের মেয়াদ হচ্ছে মাত্র দেড় বছর। অগ্রণী ব্যাংকের লোন পরিশোধ করতে হয় বিদেশ যাওয়ার তিন মাস পর থেকেই।
আরো পড়ুনঃ কাতারে কোন কাজের চাহিদা সবথেকে বেশি - কাতারের কোম্পানির সর্বনিম্ন বেতন কত
অগ্রণী ব্যাংকের লোন পরিশোধ করতে হয় মাসিক কিস্তিতে। আজকের আর্টিকেল থেকে নিশ্চয় আপনি জানতে পেরেছেন লোন পরিশোধ করার নিয়ম এবং লোনের মেয়াদ সম্পর্কে। আজকের আর্টিকেলে আমরা বাংলাদেশের কোন ব্যাংকগুলো প্রবাসী লোন দিয়ে থাকেন সেগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত।
শেষ কথাঃ বাংলাদেশের কোন ব্যাংকগুলো প্রবাসী লোন দিয়ে থাকেন দেখুন
প্রিয় পাঠক আপনি যা জানার জন্য আজকের আর্টিকেলে প্রবেশ করেছেন তা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি বাংলাদেশের কোন ব্যাংকগুলো প্রবাসী লোন দিয়ে থাকেন, বিদেশ যাওয়ার জন্য কারা এই প্রবাসী লোন পাবেন, প্রবাসী লোন পাওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র অতি প্রয়োজন, বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রবাসী লোন কত টাকা পাওয়া যাবে।
আরো জানানোর চেষ্টা করেছি প্রবাসী লোন পরিষদের যে সকল নিয়ম এবং মেয়াদ রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে। লোন পরিশোধ করার জন্য প্রতি মাসে কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয় এবং কিছু কিছু ব্যাংক রয়েছে যেগুলোতে ডেট থেকে দুই বছর এবং তিন বছরের মধ্যে লোন পরিষদ করতে হয়। প্রতিমাসে কিস্তিতে লোন পরিশোধ করতে হয় সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে। আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অত্যন্ত ধন্যবাদ।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url